জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৪৬ এএম
অনলাইন সংস্করণ

ভালো দাম পেয়ে শজনে চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

জয়পুরহাটের নতুনহাট থেকে শজনে কিনে আক্কেলপুর ট্রাক স্ট্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা
জয়পুরহাটের নতুনহাট থেকে শজনে কিনে আক্কেলপুর ট্রাক স্ট্যান্ডে নেওয়া হচ্ছে। ছবি : কালবেলা

শজনে গাছ রোপণ করে বাড়তি আয় বেড়েছে জয়পুরহাটের কৃষক পরিবারে। দিন দিন শজনে চাষ বেড়েই চলেছে। চলতি মৌসুমে বাজারে শজনের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।

জানা যায়, অন্যান্য ফসলের মতো চাষকৃত জমিতে শজনে চাষ করা হয় না। জমির ধারে, বাড়ির খুলিতে, সড়কের পাশে, পতিত জমিতে সাধারণত শজনে গাছ লাগানো হয়। আর এসব গাছ থেকে শজনে বিক্রি করে বাড়তি আয়ের মুখ দেখছেন জয়পুরহাটের কৃষকরা। আগাম বাজারে আসা শজনে ১৮০-২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারমূল্য প্রতি কেজি ৪০-৪৫ টাকা।

সদর উপজেলার ধুলাতর গ্রামের কুষক মুকুল হোসেন জানান, তার বাড়ির পাশে দুটি শজনে গাছ আছে। প্রথম দিকে ৭০ টাকা কেজি দরে ২৫ কেজি শজনে বিক্রি করেছেন। এখন দাম কমে ৪০ টাকা কেজি। দুটি গাছ থেকে প্রায় ৩ হাজার টাকার শজনে বিক্রি করেছেন।

ধারকি আকন্দ পাড়ার বেলাল হোসেন জানান, তার একটি গাছে ৩০ কেজি শজনের ফলন হয়েছিল। ২০ কেজি ৯০ টাকা দরে বিক্রি করেন। বাকি ১০ কেজির মতো নিজেরা খেয়েছে এবং কিছু প্রতিবেশীদেরও দিয়েছেন।

বেলাল হোসেন জানান, রাইখঞ্জন নামের বারোমাসি শজনে খেতে খুব সুস্বাদু। এ শজনে গাছ খুব কম আছে। আর এর দাম বেশ ভালো। সাধারণত গ্রামের মেয়েরা শজনে গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করেন বলেও জানান তিনি।

তাদের ভাষ্য শজনের ডাল চারা হিসেবে মাটিতে ভালোভাবে পুঁতে রাখলে গাছ উঠে। ডাল লাগানোর পর গরু ছাগল নষ্ট না করলেই হলো। আর কোনো বাড়তি পরিচর্যার দরকার হয় না। শজনে গাছ ঝড়ে ভেঙে যাওয়া ছাড়া সাধারণত নষ্ট হয় না। দাম কমবেশি যা হোক বাজারে চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।

সদর উপজেলার সাহাপুর গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আশরাফুল আলম শজনের পাইকারি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তিনি জানান, প্রথম প্রথম দাম বেশি ছিল। এখন তারা ৪০ টাকা কেজি দামে কিনে ঢাকা নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ট্রাকযোগে নিয়ে বিক্রি করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচ উপজেলার প্রতিটি গ্রামে পুষ্টিকর খাদ্য হিসেবে পরিচিত শজনের চাষ হয়ে থাকে। জেলায় প্রায় হাজার হেক্টর জমির শজনে গাছ থেকে সাড়ে ১০ হাজার টন শজনে উৎপন্ন হয়ে থাকে। জেলার মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হয় এ শজনে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম বলেন, পুষ্টিকর খাদ্য শজনে চাষে আগ্রহ বাড়ছে। এবার দামও বেশ ভালো।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী শনিবার

ইতিহাসে এই দিনে কী ঘটেছিল?

অস্ট্রেলিয়ায় উদ্ভাবিত বিশ্বের প্রথম টাইটানিয়াম হার্ট মানবদেহে প্রতিস্থাপন

শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শক্তিশালী পাসপোর্টে শীর্ষে সিঙ্গাপুর, বাংলাদেশের অবস্থান কত?

২৭ জুলাই : নামাজের সময়সূচি

যে ভুলে মরতে পারে টবের গাছ

ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদে ২৪ বছর ধরে চাকরি, অতঃপর..

ঝিনাইদহে ২৪ বছর ধরে ক্রিকেট ব্যাট বানাচ্ছেন ৩ ভাই

জামালপুরে ১০ মামলায় আসামি ২৩০৫, গ্রেপ্তার ৩২

১০

আনোয়ারা পারকি সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ভিড়

১১

যাত্রী পারাপার কমেছে আখাউড়া স্থলবন্দরে

১২

সিলেটে ৭ চোরাই সিএনজি অটোরিকশা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭

১৩

‘সাংবা‌দি‌কের ওপর হামলা নিঃস‌ন্দে‌হে ছাত্র‌দের কাজ নয়’

১৪

রাজশাহীতে সহিংসতার মামলায় গ্রেপ্তার ১১৬৩

১৫

ছাত্রলীগের রাজনীতি ছাড়ার ঘটনা নিয়ে সারজিসের ফেসবুক স্ট্যাটাস

১৬

তিন সমন্বয়ককে আটকের কারণ জানালেন ডিবিপ্রধান

১৭

দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আল জাজিরাকে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার

১৮

পাকিস্তানের বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস জয়ে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা

১৯

ময়মনসিংহে শিক্ষার্থীর ওপর হামলা-মারধর

২০
X