গত দুই সপ্তাহ ধরে তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে গোটা দেশ। আকাশ ফেটে যেন ঝরছে আগুন। তীব্র এই গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এই তপ্তরোদে বাইরে তুলনামূলক কম বের হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সূর্যের প্রখর তাপে তীব্র গরমে নাজেহাল। কিন্তু অতিরিক্ত গরমে ঘরের ভেতরেও মিলছে না মুক্তি। আর এই তাপপ্রবাহের মধ্যেই বিদ্যুৎ এর লুকোচুরি যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা। বৈদ্যুতিক পাখা না চলায় গরমে আরও কষ্ট পেতে হচ্ছে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাসিন্দাদের। সারাদিনে তিন ঘণ্টাও মিলেছে না বিদ্যুৎ।
নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরাও। সে কারণে সেচ পাম্পের মালিক ক্ষেতে পানিও দিতে পারছেন না। সেচের অভাবে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানক্ষেত।
সোমবার (২৯ এপ্রিল) দিনাজপুরে দুপুর ৩টায় ৩৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আর্দ্রতা ২১ শতাংশ। বাতাসের গড় গতিবেগ ছিল ৬ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
তীব্র গরমের এই সময়ে দফায়-দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তারা বলছেন, একদিকে গরম, অন্যদিকে চলছে বিদ্যুতের লুকোচুরি খেলা। এ কারণে সাধারণ মানুষ ঘরেও টিকতে পারছেন না।
উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা কালবেলাকে বলেন, তীব্র গরমে কোথাও গিয়ে শান্তি নাই। বাইরে রোদের ফলে একটু ঘরে থাকবো কিন্তু বিদ্যুতের যে যাওয়া-আসা এতে আরও বেশি ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। বর্তমানে আমরা নিরুপায়।
বাসুলী গ্রামের বাসিন্দা আ. মজিদ কালবেলাকে বলেন, ছেলেমেয়েদের নিয়ে বেশি টেনশনে আছি। সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ গেলে আর খবর নাই। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে পাঠালে গরমে অস্থির। তাদের লেখাপড়া কোন দিকে যাচ্ছে এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছি।
বিদ্যুতের যাওয়া আসা নিয়ে দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর খানসামা সাব জোনাল অফিসের এজিএম মো. ইখতিয়ার আহমেদের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এরপর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এর আগে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেন, চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম থাকার কারণেই লোডশেডিং হচ্ছে। তবে দাবদাহ কমে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন