পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৬ মে ২০২৪, ০৫:৪৮ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

উপকূলে লবণাক্ততার কারণে আবাদি জমিকে আবাদযোগ্য করা হবে : কৃষিমন্ত্রী 

কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। ছবি : সংগৃহীত
কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ। ছবি : সংগৃহীত

উপকূলে লবণাক্ততার কারণে আবাদি জমিকে আবাদযোগ্য করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো. আব্দুস শহীদ।

তিনি বলেন, লবণাক্ততার কারণে যেসব জমি অনাবাদি রয়েছে তা আবাদের আওতায় আনতে অবৈধ লবণ পানির অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে হবে। সরকারি খাল ইজারামুক্ত ও ভরাট হওয়া খাল খনন করে মিষ্টি সেচ পানির আধার সৃষ্টি করে স্থায়ী বেড়িবাঁধের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রকল্পের মাধ্যমে মিনি পুকুর ও বোরোপিট খনন করে লবণাক্ত সহনশীল জাতের ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।

রোববার (৫ মে) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এসব তথ্য জানান।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান এ সক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। তিনি বলেন, ‘কৃষিমন্ত্রী অনুগ্রহ করে আমার নির্বাচনী এলাকা খুলনার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা একদিন খাদ্য উদ্বৃত্ত এলাকা হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল। লবণাক্ততার কারণে যেসব জমি অনাবাদি রয়েছে। ওই জমি আবাদযোগ্য করবার কোনো পরিকল্পনা সরকারের আছে কিনা?

জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, পাইকগাছা উপজেলায় ফসল আবাদের আওতার বাইরে যে সকল অনাবাদি জমি রয়েছে, তা লবণ ঘেরে মৎস্য চাষের আওতায় পাইকগাছা উপজেলায় মোট আবাদি জমির পরিমাণ ২৪ হাজার ৯১৮ হেক্টর। এর মধ্যে লবণাক্ততা রয়েছে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমি। যেখানে রবি মৌসুমে মৎস্য চাষ হয়। উক্ত জমি ফসলের আওতায় আনা সম্ভব। লবণাক্ত ঘেরগুলো পরিকল্পিতভাবে মিষ্টি পানির আওতায় আনা গেলে স্বাদু পানির মাছ এবং ফসল, একই সঙ্গে উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

মন্ত্রী আব্দুস শহীদ জানান, সরকারের প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলছে। এ ক্ষেত্রে ওইসব জমি ফসলের আওতায় আনতে যে সকল প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো হলো; মিষ্টি পানির অভাব, খাল ভরাট হয়ে যাওয়া, স্লুইস গেট বিনষ্ট, ফসলি জমিতে লবণ পানি উঠানো। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে ফসল আবাদের আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।

তিনি আরও জানান, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় অনাবাদি জমি আবাদযোগ্য করার লক্ষ্যে ‘উপকূলীয় এলাকায় পানি ও মাটির লবণাক্ততা ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন ও নিবিড়তা বৃদ্ধিকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে বর্ণিত এলাকায় খাল ও পুকুর পুনঃখনন, সেচ অবকাঠামো স্থাপনের মাধ্যমে অনাবাদি জমি আবাদযোগ্য করা সম্ভব হবে।

একই প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, লবণাক্ততার কারণে অনাবাদি জমি আবাদযোগ্য করার লক্ষ্যে বিএডিসি’র মাধ্যমে ২০২৩-২৪ বর্ষে খুলনা জেলার কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় ৫৩১ দশমিক ৫ টন বীজ এবং কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী টিএসপি, এমওপি ও ডিএপি সার সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বিএডিসিসহ কয়েকটি সংস্থা কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পার্টনার’ প্রকল্প হতে কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলায় ফসল ও সেচ উভয় সেক্টরে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সৌদিগামী যাত্রীদের জন্য সুখবর

এমবাপ্পের একমাত্র গোলে রিয়ালের কষ্টার্জিত জয়

ম্যানসিটি ছাড়ছেন আর্জেন্টিনার ‘নতুন মেসি’

‘৫১ লাখ টাকার স্টেডিয়াম ১৪ কোটিতে করার অনুমোদন’, কী ব্যাখ্যা দিলেন সচিব

জনপ্রিয় ব্রিটিশ পত্রিকায় বাংলাদেশ নারী দলের প্রশংসা

ইউআরপি ও ডিএলআর মডিউল প্রস্তুত / মালয়েশিয়ায় শ্রমিক যাবে শূন্য অভিবাসন ব্যয়ে

রাশিয়া শক্তিশালী, এটা মেনে নিতেই হবে : ট্রাম্প

ময়মনসিংহ থেকে বাস চলাচল শুরু, ভাঙচুরের ঘটনায় কমিটি

আইপিএলে ভালো করলেও ভারত দলে জায়গা নিশ্চিত নয়

ফেব্রুয়ারির কত তারিখে রোজা শুরু হতে পারে 

১০

দুই শিক্ষককে প্রাণনাশের হুমকি প্রদানের ঘটনায় আহমাদুল্লাহর উদ্বেগ

১১

সরকারি কর্মচারীরা দাফনের জন্য পাবেন টাকা

১২

দেড় যুগেও নির্মাণ হয়নি জহির রায়হান মিলনায়তন

১৩

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা, দুই উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

১৪

৫ অভ্যাসে বার্ধক্যেও ভালো থাকবে হৎপিণ্ড

১৫

অনশন প্রত্যাহার করল বেরোবি শিক্ষার্থীরা

১৬

‘ভুল চিকিৎসায়’ একদিনে দুই শিশুর মৃত্যু

১৭

সরকারি কর্মচারীদের জন্য সুখবর

১৮

কাভার্ডভ্যানের চাপায় মা-মেয়ের মৃত্যু

১৯

মাস্ক পরে হাসপাতালে দীপু মনি

২০
X