কালবৈশাখী ঝড়ো বাতাসে চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও তার ছিঁড়ে ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। বেশির ভাগ এলাকার শত শত পরিবার এখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত মঙ্গলবার (৭ মে) রাত ১১টা পযন্ত উপজেলার অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ আসেনি।
জানা গেছে, সোমবার (৬ মে) দুপুর থেকে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড় প্রায় দেড় ঘণ্টা তাণ্ডব চালিয়েছে। প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ায় উপজেলার অনেক জায়গায় বারইয়ারহাট পৌরসভা, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন, মিঠানালা, ওয়াহেদপুর, দুর্গাপুর, খৈয়াছড়া, কাটাছরা ও ইছাখালী ইউনিয়নে বিভিন্ন জায়গায় গাছ পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। অনেক জায়গায় তার ছিঁড়ে গেছে। অনেক জায়গায় ডালপালা ভেঙে পড়ে অসংখ্য ট্রান্সফরমার ও মিটার নষ্ট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সেলুন মালিক মাখন লাল কালবেলাকে বলেন, হালকা বাতাস ও আকাশে মেঘ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে শুরু হওয়া কালবৈশাখী ঝড়ের আগে যে বিদ্যুৎ গেছে, এখনো পর্যন্ত বিদ্যুতের কোনো দেখা নাই। বিদ্যুৎ না থাকলে কাজ করা যায় না। এ দোকানের আয়ের ওপর আমার সংসার চলে।
উপজেলার মস্তাননগর এলাকার সেচ্ছাসেবী রাশেল চৌধুরী বাবু কালবেলাকে বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের আগে যে বিদ্যুৎ গেছে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা নাই। আমাদের এখানে গাছপালা পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। বিদ্যুৎ অফিসে বিষয়টি জানানোর জন্য একাধিকবার ফোন দিলেও কেউ রিসিভ করেনি।
রাশেল আরও বলেন, মোবাইলের নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফ্রিজে রাখা জিনিস পত্র নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
অটোরিকশাচালক মহি উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, অটোরিকশা চালিয়ে আমার সংসার চলে। বিদ্যুৎ না থাকায় গাড়িতে চার্জ দিতে পারি নাই। তাই আজকে গাড়িও বের করতে পারি নাই। এখনো বিদ্যুৎ আসে নাই, কখন আসবে তাও জানি না।
বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি কখন স্বাভাবিক হবে এ বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর মিরসরাই জোনাল অফিসের ডিজিএম আদনান আহমেদকে একাধিক বার ফোন করে এবং এমএমএস পাঠিয়ে বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে উপজেলাজুড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানদের তালিকা প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারপর বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তা করা হবে।
মন্তব্য করুন