হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের কাকাইলছেও ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে বসবাস প্রায় হাজারো পরিবারের। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ শতাধিক। রসুলপুর গ্রাম থেকে উপজেলা সদর, কাকাইলছেও ইউনিয়ন বাজার স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতের জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমলিপ প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় দুই কিলোমিটার (২ হাজার ্একশ মিটার) রাস্তা। নির্মাণের পর ২০২০ এবং ২০২২ সালের দুই দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় সড়কটি। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির এখন বেহাল দশা। আর এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগীসহ রসুলপুর গ্রামের হাজারো সাধারণ মানুষ।
উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে হিমলিপ প্রকল্পের অর্থায়নে ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ শুরু হয় ২ হাজার একশ মিটার জেসিসি রাস্তার কাজ। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয় নির্মাণকাজ। সরেজমিনে রসুলপুরের রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, দুই দফা বন্যায় রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দ ও ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ এবং রাস্তার পাশ থেকে মাটি সরে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে চলছে ইজিবাইক, সিএনজিসহ নানা ধরনের যানবাহন।
আরও পড়ুন : দশ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগের কারণ ২ কিলোমিটার সড়ক
স্থানীয়রা জানান, নির্মাণের পর দুই দফা বন্যায় রাস্তাটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংস্কার না হওয়ায় বিভিন্ন সময় ঘটছে দুর্ঘটনাও। স্কুল-কলেজে যাওয়া-আসা উপজেলা সদর, হাসপাতালসহ যে কোনো জায়গায় যেতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রামের সাধারণ বাসিন্দাসহ শিক্ষার্থীদের।
রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দারা জানান, দুই দফা বন্যার পর রাস্তাটিতে কোনো ধরনের মেরামত করা হয়নি। রাস্তাটির বর্তমানে যে বেহাল দশা হয়েছে এতে প্রতিনিয়ত আমাদের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। রাস্তাটি এত সরু হয়েছে যে, একটি ইজিবাইক রাস্তা দিয়ে গেলে আরেকটি পাড় হতে একপাশে দাঁড় করিয়ে রাখতে হয়। অনেক সময় ঘটে দুর্ঘটনাও। এখন বর্ষাকাল হাওরের পুরো আফাল (হাওরের ঢেউ) এসে রাস্তাটিতে ধাক্কা দিচ্ছে। গ্রামবাসীর উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে রাস্তার পাশে বাঁধ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রফিক মিয়া ও আজিজুর রহমান জানান, যানবাহনে ঝুঁকি নিয়ে কোনো রকমে চলাচল করছেন স্থানীয়রা। রাস্তাটি রক্ষায় গ্রামবাসী নিজেদের নিজ নিজ বাড়ির সামনে বাঁশের বেড় দিয়েছেন।
উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ তানজির উল্যাহ সিদ্দিকী বলেন, রাস্তাটি মেরামত করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই এটি গৃহীত হবে। গৃহীত হলে দরপত্রের মাধ্যমে রাস্তাটির সংস্কারকাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন