ফরিদপুরের মধুখালীতে গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের দায়ে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ভুক্তভোগী গৃহবধূকে ১ লাখ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুজন কুমার হালদার জেলার মধুখালী উপজেলার বেলেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা।
এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূকে দুই বছর ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন সুজন কুমার হালদার। এতে ওই গৃহবধূ রাজি হননি। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশও হয়েছে। সালিশে সুজনকে সতর্ক করা হয়। পরে এ ঘটনার জেরে ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ওই গৃহবধূর মুখ ও শরীরে অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যান সুজন। সন্ধ্যায় রান্না করার সময় ওই গৃহবধূ অ্যাসিড সন্ত্রাসের শিকার হন।
পরে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই গৃহবধূর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ওই গৃহবধূ এখনও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এসিডের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন। এ ঘটনায় মধুখালী থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর পরিবার।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) মো. সানোয়ার হোসেন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী রায়। অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা সামাজিকভাবে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এ রায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনা কমে আসবে। অপরাধীরা বুঝতে সক্ষম হবে, অপরাধ করে পার পাওয়া যায় না।
মন্তব্য করুন