ফেনীর উপকূলীয় সোনাগাজী উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ব্যপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ মেডিকেল টিম, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
শনিবার (২৫ মে) রাতে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনলাইনে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে সভায় উপজেলা বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক, স্কাউট সদস্য, সংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমাল মোকাবিলায় সোনাগাজী উপজেলার ৪৩টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সোনাগাজীর ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে উপকূলীয় ৪টি ইউনিয়ন (চরদরবেশ, চরচান্দিয়া, সোনাগাজী ও আমিরাবাদ) কে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। সব সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার স্বেচ্ছাসেবকদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মাঠে থাকবে ২ হাজার সিপিপি’র স্বেচ্ছাসেবক, পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, স্কাউট সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার ৯টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় বিভিন্ন কর্মকর্তাদের ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঝুকিপূর্ণ ৪টি ইউনিয়নে পুলিশের মোবাইল টিম থাকবে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকে মেডিকেল টিম গঠন করতে বলা হয়েছে। পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ প্রস্তুত রয়েছে। স'মিল সমিতিকেও জরুরি প্রয়োজনে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ে প্রায় ৫০হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট মজুদ আছে। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার (মুড়ি, চিড়া, গুড়) মজুদ রয়েছে।
উপজেলায় একটি কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমের এই (০১৭৬৬-৫৯৮২৫৯) নম্বরে কল করে ঘূর্ণিঝড় সংক্রান্ত যেকোনো বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করা যাবে।
রেডক্রিসেন্ট সোনাগাজী উপজেলার টিম লিডার শান্তি রঞ্জন কর্মকার বলেন, ঘূর্নিঝড় রেমাল মোকাবেলায় রেডক্রিসেন্ট এর ১শ টিম প্রস্তুত রয়েছে। প্রতিটি টিমে ২০জন সদস্য রয়েছে। এর মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০জন মহিলা।
চরচান্দিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি। রেডক্রিসেন্ট সদস্যদের পাশাপাশি ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ, আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরা প্রস্তুত রয়েছে।
মন্তব্য করুন