‘দিন থাকতেই কুয়াকাটা ছেড়ে যাওয়া উচিত ছিল। সমুদ্রের ভয়ংকর রূপ কাছ এতটা থেকে কখনো দেখা হয়নি। সারাক্ষণ আতঙ্ক আর দুশ্চিন্তায় রাত পার করছি। বাবা-মা ভয়ে ছিলেন। সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ দেখে ভয় পেয়েছিলাম। সারারাত না ঘুমিয়ে হোটেলে কাটিয়ে দিয়েছি। এ সময় ট্যুরিস্ট পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মত। আমাদের নিরাপত্তার জন্য তারা সবসময় ব্যস্ত ছিলেন।’
রোববার (২৬ মে) সকালে কালবেলাকে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা থেকে আগত পর্যটক বেলায়েত মুন্না।
তিনি বলেন, আমি দুদিন ধরে কুয়াকাটায় অবস্থান করছি। আমরা বন্ধুবান্ধব মিলে বেড়াতে এসেছি। আবহাওয়া খারাপ হলে নাকি সমুদ্রের ভয়ংকর রূপ হয়, তাই থেকে গেলাম কুয়াকাটায়।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে শনিবার (২৫ মে) বিকেল নাগাদ ছিল বৃষ্টি আর বাতাসের তীব্রতা। যা সন্ধ্যার পরে বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। পুরো রাত উৎকণ্ঠায় ছিলেন পর্যটকরা।
কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর ছিল কুয়াকাটার ট্যুরিস্ট পুলিশ ও নৌ পুলিশের সদস্যরা। তারা পর্যটকদের নিরাপদে রাখতে মাইকিংসহ নিরাপত্তার সংবাদ প্রচার প্রচারণা করেছে। সকল পর্যটকদের হোটেলে অবস্থান নিশ্চিত করাসহ তাদের যাবতীয় খোঁজখবর রাখছে অদ্যাবধি। এমনটা নিশ্চিত করা হয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির পাশাপাশি বাতাসের তীব্রতা রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দেশের সকল বিভাগে ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী ৪৪-৮৮ মিলিমিটার থেকে অতি ভারী ২৮৯ মিলিমিটার বর্ষণ হতে পারে। এবং উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনি, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চাইতে ৩ থেকে ৫ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
মন্তব্য করুন