রাতের আঁধারে নির্জন স্থানে অবস্থান করছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। তাদের সঙ্গে ছিল বড় বড় প্লাস্টিকের ড্রাম, রান্নার পাত্র, গ্যাসের সিলিন্ডার ও চুলাসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র।
দেখে বোঝার উপায় নেই সেখানে ঠিক কী চলছিল। একটু পরেই ওই স্থানের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। সেখানে কয়েকজন ব্যক্তির উপস্থিতি টের পেয়ে এগিয়ে যান তারা। তখনই মদের গন্ধ পান তারা। এরপর সেখানে গিয়ে দেখতে পান বড় বড় ড্রামে বানানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মদ।
স্থানীয় ওই যুবকরা মদ তৈরির তিন কারিগরকে ৭৪ লিটার মদসহ হাতেনাতে ধরে সরকারি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল দেন। পরে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
গত ২৪ মে মধ্যরাতে হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের পাহাড়পুর হাওর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটককৃতরা হলেন পাহাড়পুরের পূর্ব কালনীর বাসিন্দা সুরঞ্জিত দাস, বকুল চন্দ্র দাস ও বুত চন্দ্র দাস।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ৩ জনকে আটক করেন। মদগুলো জব্দ করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এলাকার চিহ্নিত মদ বিক্রেতারা হাওরের নির্জন স্থানে নিজস্ব লোকজন দিয়ে চোলাই মদ উৎপাদন ও বিক্রি করে আসছে। সেখানে প্রশাসনের নজর দারির অভাবে বেড়েই চলেছে মাদকদ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রি। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সরব কারবারিদের দৌরাত্ম্য।
মন্তব্য করুন