বগুড়ায় ভোটগ্রহণে অনিয়মের অভিযোগে শহরের জুবিলী ইনস্টিটিউশনের দুটি কেন্দ্রের দুই প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তারা হলেন, বগুড়া জুবিলী ইনস্টিটিউশনের পূর্ব ভবনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মতিউর রহমান এবং একই প্রতিষ্ঠানের পশ্চিম ভবনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু সালেহ।
জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম ওই দুটি কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তিনি বলেন, অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের কোনো বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল কি না- সেটা তদন্তের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা হবে। যদি প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে তারা যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেই প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হবে।
বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, দুপুর দেড়টার দিকে তিনি এবং পুলিশ সুপারসহ সরকারি অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাসহ জুবিলী ইনস্টিটিউশন কেন্দ্র পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি ওই দুটি কেন্দ্রের বুথগুলোতে ‘নির্বাচনী এজেন্ট’ হিসেবে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা সবাই একজন নির্দিষ্ট প্রার্থীর এজেন্ট। আর তাদের সবার পরিচিতিপত্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরও রয়েছে।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতিটি বুথে একজন প্রার্থীর একজন করে এজেন্ট থাকবেন। কিন্তু ওই কেন্দ্রের বুথগুলোতে তা মানা হয়নি। তাছাড়া অভিযুক্ত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো স্বীকারও করেছেন। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি একজন করে এজেন্ট রেখে অন্যদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জুবিলী ইনস্টিটিউশনের পূর্ব ভবনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী নিশিন্দারা ফকির উদ্দিন স্কুল ও কলেজের প্রভাষক আবু সালেহ বলেন, একটি বুথে আনারস প্রার্থীর দুজন এজেন্ট ছিলেন। এজন্য আমাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।’ জুবিলী ইনস্টিটিউশনের পশ্চিম ভবনের প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী নামুজা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মতিউর রহমানও একই কথা বলেন।
মন্তব্য করুন