মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফেনীতে জামানত হারাচ্ছেন ৪ প্রার্থী

বাঁ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হক মানিক, মহি উদ্দিন, নুর আলম মিষ্টার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার। ছবি : কালবেলা
বাঁ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হক মানিক, মহি উদ্দিন, নুর আলম মিষ্টার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার। ছবি : কালবেলা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী ২ জন বাদে বাকি ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৮৬ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজিবুল হক মানিক (লাঙ্গল) ৭০৯ ভোট, মহি উদ্দিন (আনারস) ৪২০ ভোট, মজিবুল হক মানিক (লাঙ্গল) ৭০৯ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাখাওয়াতুল হক বিটু। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ৮৩ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার (উড়ো জাহাজ) ৩ হাজার ২০০ ভোট পেয়েছেন।

সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮৯ হাজার ২২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ শতকরা ৩৬ শতাংশ ৪৪ ভাগ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। বিধান অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত সাড়ে ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসেবে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে পরাজিত ৪ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বলেন, কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ১ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

তিন মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক সেক্রেটারি গ্রেপ্তার

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতল ভারত

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে : ডা. শাহাবুদ্দিন

‘যারা কাসেমীর ফাঁদে পড়েছ, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করো’

ত্রিদেশীয় সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা বাংলাদেশের

বৃহত্তর নোয়াখালী নারী সংঘ ইতালির আত্মপ্রকাশ

শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের

‘হাসিনার কালো আইন বাতিল করুন, না হয় নিবন্ধন দিন’

বাড়ির পাশের পুকুরের পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

আহত শিশুকে নেওয়া হলো হাসপাতালে, সড়কে পড়ে ছিল বিচ্ছিন্ন হাত

১০

বিএনপির দুই নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার

১১

যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের ২ সদস্য বরখাস্ত

১২

দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে প্রাণ গেল ২ বন্ধুর

১৩

লাভের আশায় কৃষকের আগাম ফুলকপি চাষ

১৪

বাউল শিল্পীদের মারধরের ঘটনায় মামলা

১৫

না ফেরার দেশে মেসিকে আর্জেন্টিনা দলে আনার মূল কারিগর

১৬

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ ঘনীভূত, এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘সেনিয়ার’

১৭

সড়কে লাগানো ধান কেটে প্রতিবাদী পিঠা উৎসব

১৮

পার্বতীপুর মধ্যপাড়া পাথর খনি বন্ধ ঘোষণা

১৯

যা কিছু রেখে গেলেন ধর্মেন্দ্র

২০
X