সোনাগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ মে ২০২৪, ০৩:৪২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ফেনীতে জামানত হারাচ্ছেন ৪ প্রার্থী

বাঁ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হক মানিক, মহি উদ্দিন, নুর আলম মিষ্টার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার। ছবি : কালবেলা
বাঁ থেকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মজিবুল হক মানিক, মহি উদ্দিন, নুর আলম মিষ্টার ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার। ছবি : কালবেলা

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের লড়াইয়ে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়া ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে বিজয়ী ২ জন বাদে বাকি ৪ জনই জামানত হারাচ্ছেন। ভোটগ্রহণ শেষে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

উপজেলা নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা জমা দিতে হয়। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য ৭৫ হাজার টাকা জমা দিতে হয়। নির্বাচনে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে নির্বাচন কমিশনে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ঘোষিত বেসরকারি ফলাফলে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন। তিনি দোয়াত-কলম প্রতীকে ৮৬ হাজার ১৭১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মজিবুল হক মানিক (লাঙ্গল) ৭০৯ ভোট, মহি উদ্দিন (আনারস) ৪২০ ভোট, মজিবুল হক মানিক (লাঙ্গল) ৭০৯ ভোট পেয়েছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে দ্বিতীয়বারের মতো বিজয়ী হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাখাওয়াতুল হক বিটু। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে ৮৩ হাজার ২৫৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আইয়ুব আলী হায়দার (উড়ো জাহাজ) ৩ হাজার ২০০ ভোট পেয়েছেন।

সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোট ২ লাখ ৪৪ হাজার ৯০৫ ভোটারের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৮৯ হাজার ২৩৭ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮৯ হাজার ২২৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। অর্থাৎ শতকরা ৩৬ শতাংশ ৪৪ ভাগ ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। বিধান অনুযায়ী, মোট প্রদত্ত ভোটের অন্তত সাড়ে ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। সেই হিসেবে চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে পরাজিত ৪ জন প্রার্থীই জামানত হারাচ্ছেন।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বলেন, কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ৩ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ১ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে জামায়াত আমিরের কড়া বার্তা

কম্বল গোডাউনের আগুন আড়াই ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে

সালমান এফ রহমানের ৩৬ বিঘা জমি জব্দ

‘মেইড ইন ইন্ডিয়া’ লেখা পিস্তল উদ্ধার, পালিয়েছে মাসুদ

বাসি-পচা মাংস দিয়ে বিরিয়ানি, ২ লাখ টাকা জরিমানা

আট বছরেও হয়নি শিশু হাসপাতাল নির্মাণের অর্ধেক কাজ

ভুল বালিশে শুয়েই খারাপ হচ্ছে আপনার ফুসফুস! জানুন কীভাবে

টানা তৃতীয় দফায় কমেছে স্বর্ণের দাম

রাত থেকে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডাসহ ১৬ দেশে ভোটার নিবন্ধন শুরু

রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ৩০০ ভবন চিহ্নিত : রাজউক

১০

সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া কাটতে গিয়ে চোরাকারবারি ধরা

১১

আলেমরাই পারেন মানুষকে খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে : ড. কাইয়ুম

১২

মার্কিন সন্ত্রাসী তালিকায় আরও এক সংগঠন

১৩

এক নামের সবাইকে কি মাফ করে দেওয়া হবে? যা বলছেন বিশেষজ্ঞ

১৪

নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ অবৈধ : ডিসি কামরুল হাসান

১৫

সি-স্যুট সম্মাননা পেলেন নেসলে বাংলাদেশের পরিচালক এএসএম হাফিজুল

১৬

চিরনিদ্রায় ধর্মেন্দ্র

১৭

বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

১৮

প্রবাসীর স্ত্রীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ

১৯

ঘুষের অভিযোগ / দুদকের শুনানিতে বিআরটিএ পরিদর্শক বরখাস্ত

২০
X