ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় গুলিতে ছাত্রলীগ কর্মী আশরাফুল রহমান ইজাজ নিহতের ঘটনায় ১৬ জনের নামসহ ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে হত্যা মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে নিহতের বাবা আমিনুর রহমান বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি জালাল হোসেন খোকাকে। দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া সদ্য বহিষ্কৃত জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবি জয়কে।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন জানান, রাতে নিহতের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- শহরের কলেজপাড়ার বাসিন্দা জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি শাফি আলম (২৮) ও তার বড় ভাই সাগর (৩২), কাউতলীর শাহাদাৎ হোসেন ওরফে সানি (২৮), কলেজপাড়ার অপু (৩০), মামুন (৩৮), মাসুম (৪০), শাহরিয়ার ওরফে লাদেন (২২), রুবেল (২৮), অলি (৩০), রুমান (৩৫), তারেফ (৩০), সৌরভ (৩০), মামুন (২৮), মুরসালিন (২৮)। জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার হওয়া হাসান আল ফারাবীসহ অন্য আসামিরা জালাল হোসেনের অনুসারী।
প্রসঙ্গত, নিহতের পরিবারের দাবি, বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহদাৎ হোসেন শোভনের বিজয়ের খবরে মিশন স্কুল কেন্দ্র থেকে আনন্দ মিছিল বের করে তার কর্মী সমর্থকরা। মিছিলটি শহরের কলেজপাড়া এলাকায় এলে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মো. হেলাল উদ্দিনের সমর্থক জালাল উদ্দিন খোকার নির্দেশে ইজাজের মাথায় গুলি করে জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হাসান আল ফারাবী জয়। পরে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকায় নেওয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত ইজাজ কলেজপাড়া এলাকার আমিনুর রহমানের ছেলে।
মন্তব্য করুন