বগুড়ার শিবগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষে সালাউদ্দিন আহমেদ ভুতুল (৫৫) নামে এক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। তারা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উপজেলা নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মেঘাখর্দ্দ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই দিনই যুবলীগ নেতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
বুধবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে সালাউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দেউলী ইউনিয়নের মেঘাখর্দ্দ গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেঘাখর্দ্দ মসজিদ নিয়ে কয়েকমাস ধরে দেউলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শাকিরুল ইসলাম ও স্থানীয় বাসিন্দা বোরহান উদ্দিনের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। সদ্য সমাপ্ত উপজেলা নির্বাচনে ওই দুই পক্ষ দুইজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থনে কাজ করেছে। এ নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চরমে পৌঁছে। সোমবার সন্ধ্যায় বোরহান আলীর লোকজনের সঙ্গে শাকিরুলের লোকজনের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় উভয়পক্ষ সশস্ত্র সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে আলম মিয়া (৫৫), শেখ সাদী (৪৫), সালাউদ্দিন আহমেদ ভুতুল (৪৮) ও আবু সালেক (৬৫) আহত হন। আহতদের মধ্যে সালাউদ্দিন আহমেদ ভুতুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাকে শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সালাউদ্দিন আহমেদ ভুতুলের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে মোকামতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিক ইকবাল বলেন, এ ঘটনায় সোমবার রাতে যুবলীগ নেতা শাকিরুল ইসলাম ও মন্টু মিয়া নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার আসামিদের মধ্যে পাঁচজন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে গেলে আদালত তাদের জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।
শিবগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জিল্লুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং মামলায় অভিযুক্ত দেউলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাকিরুল ইসলাম ও মন্টু মিয়াকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
মন্তব্য করুন