কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পি কে হালদার সংশ্লিষ্ট ৩ জনের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ

প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। ছবি : সংগৃহীত
প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার। ছবি : সংগৃহীত

আলোচিত এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার সংশ্লিষ্ট তিনজনের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (১৬ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

দুদকের পক্ষে কমিশনের উপসহকারী পরিচালক সাবরিনা জামান ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, পি কে হালদার এবং তার সহযোগী স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহারপূর্বক প্রতারণার মাধ্যমে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে ঋণ আবেদন যাচাইবাছাই ছাড়াই কোনো মর্টগেজ গ্রহণ ব্যতীত এবং ঋণ গ্রহীতা কাগুজে প্রতিষ্ঠান স্বন্দীপ করপোরেশনের প্রোপাইটর স্বপন কুমার মিস্ত্রিকে ভুয়া ঋণ পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। বেনিফিসিয়ারিরা এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি. থেকে ৪০ কোটি টাকা উত্তোলন করেন এবং পরবর্তীতে বিভিন্ন লেয়ারিং এর মাধ্যমে ভুয়া কোম্পানি ও বিভিন্ন ব্যক্তির হিসাবে এসব অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে অবস্থান গোপন করে পাচার করে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে উদঘাটিত হয়েছে। কারণে প্রশান্ত কুমার হালদার এবং স্বপন কুমার মিস্ত্রিসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ৩ মার্চ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এমতাবস্থায় মামলার ৩ নং আসামি এফএএস ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি.সাবেক চেয়ারম্যান মো.সিদ্দিকুর রহমান, ৮ নং আসামি পরিচালক মিসেস মাহফুজা রহমান বেবী এবং ১৬ নং আসামি আরেক পরিচালক মিস অনিতা কর কর্তৃক কাগুজে প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতপূর্বক অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বন্ধক বা বেহাত করার প্রচেষ্টা করছেন। পি কে হালদার ইতোমধ্যে ভারতে আটক রয়েছেন মর্মে জানা যায় এবং তার সহযোগীরা দেশে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে এসব অর্থ উত্তোলন করার চেষ্টা করছেন মর্মে গোপন সূত্রে জানা যায়। এসব অর্থ উত্তোলন করতে পারলে তারা গোপনে দেশ ত্যাগ করতে পারেন। মামলা নিষ্পত্তির আগে এসব অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে মামলার উদ্দেশ্যই ব্যাহত হবে। এজন্য অবিলম্বে নিম্ন তফসিলে বর্ণিত অস্থাবর সম্পদ সমূহ ফ্রিজ (freeze) করা একান্ত প্রয়োজন।

এসব হিসাবের মধ্যে মো.সিদ্দিকুর রহমানের নামে রয়েছে ১১ টি, মাহফুজা রহমান বেবীর নামে ৪টি এবং অনিতা করের নামে ৬ টি ব্যাংক হিসাব রয়েছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পেয়ে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছেন বাংলাদেশ স্পিনার

রুমিন ফারহানার দুঃখ প্রকাশ

বৃহস্পতিবার প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা

ভারতে নিষিদ্ধ অনলাইন জুয়া, বড় ধাক্কায় আইপিএল ও ভারতীয় ক্রিকেট

পদক্ষেপ নিলে মনে হয় দেশেই থাকা হবে না : ডিসি মাসুদ

রাজনৈতিক দলের মতামত নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সভা

ডিআরইউতে মঞ্চ ৭১–এর কর্মসূচি প্রত্যাহারের দাবি

জলবায়ু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব অপরিহার্য: উপদেষ্টা

কনভেনশন হলে গেরিলা বৈঠকে গ্রেপ্তার শিমুল ৪ দিনের রিমান্ডে

শাহবাগে এসে ডিএমপি কমিশনারের ‘দুঃখ প্রকাশ’

১০

ইনকিলাব সম্পাদককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠাল ছাত্রশিবির

১১

বিএনপি নেতাকে কোপাল যুবলীগ নেতা

১২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সাক্ষী হাটহাজারী বিমানবন্দর

১৩

ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রুয়েট শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

১৪

ডাকসু নির্বাচন / ১৩২ শিক্ষার্থীকে খাওয়ালেন প্রার্থী, রিটার্নিং কর্মকর্তা বললেন আচরণবিধি লঙ্ঘন

১৫

সাদাপাথর লুটপাট নিয়ে সিলেটে গণশুনানি

১৬

একাধিক উপকারিতা কাঠবাদামের, যাদের জন্য ক্ষতিকর

১৭

একই দিনে দুইবার পরিবর্তন, রাকসু নির্বাচনের নতুন তারিখ নির্ধারণ

১৮

পারকি সৈকতের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

১৯

জয়পুরহাটে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুর্ধর্ষ চুরি

২০
X