দশম জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ জুন) বিকেল ৪টা ৯ মিনিটে তুহিনকে আদালতের হাজতখানা থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। এ সময় তিনি মাথার হেলমেট খুলে ফেলেন। বুক থেকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেটসহ এক হাতের হাতকড়াও খোলা হয়।
এ সময় আসামিপক্ষ থেকে জামিন চাওয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে, গতকাল রোববার রাতে ঢাকার নবাবগঞ্জের নিজ বাড়ি থকে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার কথা জানান ডিবির যুগ্ম কমিশনার রবিউল হোসেন ভুঁইয়া।
সাবিনা আক্তার তুহিন সংরক্ষিত নারী আসন-৩৫ থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হিসেবে ২০১৪ সালের মার্চে শপথ নেন। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঢাকা-১৪ আসন থেকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চেয়েও পাননি যুব মহিলা লীগের এই নেত্রী। পরে সংরক্ষিত আসনে এমপি হওয়ার আশা পূরণ না হওয়ায় ‘অভিমানে’ রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হন তুহিন। পরে ঢাকা-১৪ আসনে যুবলীগ নেতা মাইনুল হোসেন খান নিখিলের প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি। তবে নির্বাচনে জয়ী হয়ে নিখিলই সংসদে যান।
এদিকে ফেইসবুকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ডিবি পুলিশ তুহিনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে। তুহিনকে তারা ঘিরে রাখে এবং গ্রেপ্তার না করার অনুরোধ জানায়। পরে তুহিনই সবাইকে বাধা না দিয়ে সরে যেতে অনুরোধ করেন।
মন্তব্য করুন