জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যার ঘটনায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানসহ আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ১৭ প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে তদন্তকারী সংস্থা।
তবে তাদের ভিন্ন ভিন্ন মামলায় চার্জশিট দেওয়া হবে জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। আগামী ১৫ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২০ জুলাই) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে সময় আবেদন করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
এর আগে সকালে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকসহ ১৪ জনকে প্রিজন ভ্যানে করে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়।
একাই দিন কেরানীগঞ্জের বিশেষ কারাগার থেকে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক পরিচালক জিয়াউল আহসানসহ ১০ জনকে হাজির করা হয়।
পাশাপাশি কাশিমপুর কারাগার থেকে সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিসহ ১৫ জন এবং নারায়ণগঞ্জ কারাগার থেকে গোলাম দস্তগীর গাজীকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।
এই তালিকায় আরও আছেন সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, জুনায়েদ আহমেদ পলকসহ সাবেক ৯ মন্ত্রী, এমপি এবং পুলিশ কর্মকর্তারা। তাদের বিরুদ্ধে মুগ্ধ হত্যা মামলা এবং নরসিংদী, কক্সবাজার, সিলেটসহ মোট সাতটি মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সময়ে এসব সাবেক মন্ত্রী, এমপি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তবে প্রসিকিউশন জানায়, তদন্ত সম্পন্ন না হওয়ায় সব মামলাতেই তারা সময় আবেদন করবেন।
মন্তব্য করুন