কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৩১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

রিমান্ড শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক কারাগারে 

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ছবি : কালবেলা
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক। ছবি : কালবেলা

দুর্নীতি ও বিদ্বেষমূলকভাবে বেআইনি রায় প্রদানসহ জাল রায় তৈরির অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের ৭ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইফুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন। এ সময় তিনি ১৫ মিনিট আদালতের কাঠগড়ায় নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে ছিলেন।

এদিন দুপুর ১২টা ৫ মিনিটে তাকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। এ সময় তার মাথায় হেলমেট, বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হাতে পানির বোতল ছিল। দুপুর ১২টা ১৬ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক খালেক মিয়া তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী মোনায়েম নবী শাহিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে বিচারক আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, এখানে জামিন শুনানির সুযোগ নেই। আপনি চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন দেন। এ বিষয়ে সেখানে জামিন শুনানি হবে।

এরপর বিচারক আসামি খায়রুলকে বলেন, আপনাকে রিমান্ড শেষে আদালতে আনা হয়েছে, আপনি কিছু বলবেন? তখন তিনি কোনো কিছু বলেননি। এরপর ১২টা ২০ মিনিটে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এর আগে গত ৩০ জুলাই তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গত বছরের ২৭ আগস্ট রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহা. মুজাহিদুল ইসলাম। মামলায় বলা হয়, ‘বিচারপতি খায়রুল সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কথায় প্রভাবিত হয়ে অবসর-পরবর্তী ভালো পদায়নের লোভে দুর্নীতিমূলকভাবে শেখ হাসিনাকে খুশি করার জন্য ২০১১ সালের ১০ মে সংক্ষিপ্ত আদেশটি পরিবর্তন করে বেআইনিভাবে ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর আপিল মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন।’

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ওই ব্যবস্থা বাতিল করা হয়। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ কয়েকজন রিট আবেদন করেন। সেই মামলার শুনানি করে ২০০৪ সালে হাইকোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। রিট আবেদনকারী ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন আপিল বিভাগ। তখন প্রধান বিচারপতি ছিলেন এ বি এম খায়রুল হক।

ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলায় প্রকাশ্য আদালতে ঘোষিত রায়ে সুপ্রিম কোর্ট দুই মেয়াদ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখার পথ খোলা রেখেছিলেন। কিন্তু ওই বছর সেপ্টেম্বরে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের সময় ‘জালিয়াতি’ করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ জুলাই সকালে ধানমন্ডির বাসা থেকে খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। জুলাই আন্দোলনের সময় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে যুবদল কর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় ওইদিন রাতে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বেআইনি রায় দেওয়া ও জাল রায় তৈরির অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় করা মামলায় তাকে ভার্চুয়ালি গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

প্রভিডেন্ট ফান্ডসহ চাকরি দিচ্ছে আকিজ গ্রুপ

ইসলাম কায়েমের জন্য তোমাদের প্রয়োজন নেই, জামায়াতের উদ্দেশে টুকু

শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসে বিল পাস

১৩ নভেম্বর : ইতিহাসের এই দিনে যা ঘটেছিল

জালনোটসহ তিন কিশোর আটক

ঢাকায় শীত অনুভব, সকালে তাপমাত্রা নেমে ১৯ ডিগ্রিতে

চলতি বছর ভূমধ্যসাগরে রেকর্ড অভিবাসীর মৃত্যু

রাজধানীতে আজ কোথায় কী

বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১৩ নভেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

১০

গভীর রাতে চলন্ত বাসে আগুন

১১

বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করতে চাই : মান্না

১২

মোটরসাইকেলে এসে আগুন দিয়ে পালাল দুর্বৃত্তরা

১৩

জামালপুরে একাধিক পয়েন্টে চেকপোস্ট

১৪

পুকুরে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু

১৫

ইভ্যালির রাসেলের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড

১৬

সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ আটক ৪

১৭

ঝুঁকি নিয়ে খেয়া পারাপার

১৮

আ.লীগ নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পড়ে ছিল ৯ রাউন্ড গুলির খোসা

১৯

উত্তরায় যুব-স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের অবস্থান

২০
X