বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল রায়ের অভিশাপ ভোগ করছে পুরো জাতি’

রুহুল কুদ্দুস কাজল। ছবি : সংগৃহীত
রুহুল কুদ্দুস কাজল। ছবি : সংগৃহীত

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানিতে অংশ নিয়ে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেছেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক তার রায়ে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নাকি জাতির ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতিকে গলধঃকরণ করানো হয়েছে। আসলে ওই রায়ের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের যে ক্ষমতা, সেটা বাতিল করা হয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে বিচারপতি খায়রুল হক আমাদের বিচারাঙ্গনের প্রতিই প্রতারাণা করেননি, তিনি জাতির সঙ্গেও প্রতারণা করেছেন।

মানুষের যে মৌলিক অধিকার, ভোটাধিকারের যে অদম্য আকাঙ্ক্ষা, উনার রায়টা তার সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থানে রয়েছে। জনগণের আকাঙ্ক্ষার বাইরে গিয়ে তিনি তার ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা, ব্যক্তিগত মতামতের নামে এই জাতির ওপর একটা রায় চাপিয়ে দিয়েছেন। যে রায়ের অভিশাপ আমরা পুরো জাতি আজও ভোগ করছি।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সপ্তম দিনের মতো আপিল শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আগামীকাল বুধবার (৫ অক্টোবর) ফের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপি মহাসচিবের পক্ষে ব্যারিস্টার কাজল শুনানি করবেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ তাদের বক্তব্য রাখবে।

এর আগে গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।

গত ২১ অক্টোবর নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের শুনানি শুরু হয়। এরপর ২২, ২৩, ২৮, ২৯ অক্টোবর ও ২ নভেম্বর শুনানি হয়। এরই মধ্যে ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজনের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া, ইন্টারভেনার হিসেবে আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে আইনজীবী এস এম শাহরিয়ার শুনানি সম্পন্ন করেছেন।

বিএনপি মহাসচিবের আরেক আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন শুনানিতে গতকাল বলেন, ত্রয়োদশ সংশোধনীর রায় পুনর্বিবেচনার সুযোগ এই আদালতের রয়েছে। তিনি সংবিধানের এই সংশোধনী বহাল রাখার দাবি জানান। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের সঙ্গে আমি একমত না। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু হওয়ার পরে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে বিদ্যমান সংকট, তার অন্যতম কারণ হচ্ছে, জনগণকে তার ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা।

২০০৮ সালের নির্বাচন অনিয়মতান্ত্রিক পদ্ধতিতে হয়েছে, ২০১৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। নাগরিকদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। কারণ, সে সময় ভোটগুলো শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন দলীয় সরকারের অধীনে হয়েছে। আজ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা যেটা ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে খালেদা জিয়া সংবিধানে যোগ করেছিলেন, তার প্রয়োজনীয়তা যে কত, সেটা এখন স্পষ্ট। সে কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করাটা সময়ের দাবি।

ব্যারিস্টার কাজল বলেন, যে কোন আইন অথবা রায় যখন কার্যকর হয় তখন সেটা, সব সময় পরবর্তী সময় থেকে কার্যকর হয়। সে জন্য যে রায়ই দেন না কেন, সে রায় যেন পরবর্তী সময় থেকে কার্যকর করা হয়। অর্থাৎ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারিতে যে নির্বাচন করতে যাচ্ছে, এই রায় সেটাতে যেন কোনো প্রভাব না ফেলে। বরং রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন হলে পরবর্তী নির্বাচন থেকে যেন কার্যকর হয়।

শুনানি শেষে ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সাংবাদিকদের বলেন, এই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন সরকার সংবিধানে সন্নিবেশিত করেছিল। এটি সংবিধানে সন্নিবেশিত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একটি রিট আবেদন করা হয়, সেটা হাইকোর্ট বাতিল করে দেন।

অর্থাৎ হাইকোর্ট প্রাথমিকভাবে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মাধ্যমে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এটা সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। পরে হাইকোর্টের তিন বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত আরও একটি বৃহত্তর বেঞ্চে এই রিটের শুনানি হয়। তারাও এ বিষয়টিকে সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ উল্লেখ করেন। হাইকোর্ট বিভাগের পাঁচজন বিচারপতির রায় দেওয়ার পরে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চে আপিল শুনানি হয়। খায়রুল হক সাহেব তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে যে রায় দিয়েছিলেন, তার সঙ্গে আরও তিনজন বিচারপতি একমত পোষণ করেন। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু ওই একই বেঞ্চের তিনজন বিচারপতি তাদের রায়ের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে রায় দেন। তারা নির্দলীয় এই সরকারব্যবস্থাকে সংবিধানের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

তারা বলেন, এই ব্যবস্থা মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছে এবং এই ব্যবস্থা গণতন্ত্রের জন্য সহায়ক। এ ছাড়া সংক্ষিপ্ত একটা আদেশে পরবর্তী দুটি নির্বাচন এই ব্যবস্থার অধীনে করার জন্য বলেছিলেন। কিন্তু মূল রায়ে সেটা পরিবর্তন করে ফেলেন। এই মূল রায় পরিবর্তন করার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির পক্ষ থেকে করা রিভিউ আবেদনের ওপর কয়েক দিন শুনানি হয়েছে। বুধবারও এ বিষয়ে শুনানি হবে।

ব্যারিস্টার কাজল বলেন, আদালতকে বলেছি, এই মামলাটি মোটা দাগে সুপ্রিম কোর্টের ২১ জন বিচারপতি শুনেছেন এবং শুনছেন। বর্তমান সাতনজন বিচারপতি শুনছেন। এর বাইরেও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে যে পঞ্চদশ সংশোধনী করা হয়েছিল, সেটার বৈধতা চ্যালেঞ্জের মামলাও হাইকোর্টের দুজন বিচারপতি শুনেছেন। সুতারাং ২১ জন বিচারপতি যে মামলা শোনেন, তার গুরুত্ব কতটা, সেটা সবাই বুঝতে পারেন।

খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে যে রায় দিয়েছেন, তাতে কিছু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, তার মধ্যে একটি অভিজ্ঞতার কথা হচ্ছে, তিনি একদিন জাজেস লাউঞ্জে যখন চা খাচ্ছিলেন, তখন কিছু আইনজীবী তাদের অবরুদ্ধ করেন। তিনি প্রধান বিচারপতিকে বলেছিলেন আপনি তাদের সঙ্গে কথা বলেন। কিন্তু তিনি কথা বলেননি। তার তখন মনে হয়েছে, এই প্রধান বিচারপতি ভবিষ্যতে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার প্রধান হবেন, সে কারণে তিনি কোনো কথা বলেননি। এই মামলার রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি যেসব ঘটনার উল্লেখ করেছেন, তা সম্পূর্ণভাবে তার ব্যক্তিগত ইচ্ছার ও ব্যক্তিগত বক্তব্য। সেটা কোনো বিচারিক রায় হতে পারে না। তিনটি রায়টি বাতিলের দাবি জানান তিনি।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের চাপে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আনে বিএনপি সরকার। ওই বছর ২৭ মার্চ সংবিধানে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারপদ্ধতির প্রবর্তন ঘটে। এরপর এই পদ্ধতির অধীনে ১৯৯৬ সালে সপ্তম, ২০০১ সালে অষ্টম এবং ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়। ২০০৪ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে অগণতান্ত্রিক ও সংবিধানবহির্ভূত আখ্যা দিয়ে আইনজীবী এম সলিমউল্যাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে একটি রিট করেন। শুনানির পর তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেন। রায়ে বলা হয়, ত্রয়োদশ সংশোধনী সংবিধানসম্মত ও বৈধ। এই সংশোধনী সংবিধানের কোনো মৌলিক কাঠামোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেনি।

পরে রিট আবেদনকারীরা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। ২০১০ সালে আপিলে শুনানি শুরু হয়। সর্বোচ্চ আদালত এ মামলায় অ্যামিকাস কিউরি (আদালতকে সহায়তাকারী) হিসেবে দেশের আটজন সংবিধান বিশেষজ্ঞের বক্তব্য শোনেন। তাদের প্রায় সবাই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে মত দেন। এমনকি সে সময়ের অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে মত দেন। তখনকার প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকসহ আপিল বিভাগের সাতজন বিচারপতি শুনানি গ্রহণ করেন। ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে রায় দেন। এই ব্যবস্থা বাতিলের পক্ষে ছিলেন বিচারপতি খায়রুল হকসহ চারজন। আর তিনজন ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বহাল রাখার পক্ষে।

সে রায়ে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অর্থাৎ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন অগণতান্ত্রিক এবং তা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ফলে তা বাতিলযোগ্য। তবে প্রয়োজনের নিরিখে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে। এই রায় ঘোষণার সাত দিন পর অর্থাৎ ১৭ মে অবসরে যান এ বি এম খায়রুল হক। অবসরে যাওয়ার প্রায় ১৬ মাস পর ২০১২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়।

তখন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রায় পরিবর্তনের অভিযোগ ওঠে। পূর্ণাঙ্গ রায় থেকে ‘তবে প্রয়োজনের নিরিখে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে পারে।’ এই পর্যবেক্ষণ বাদ দেওয়া হয়। পরে এই পূর্ণাঙ্গ রায়কে আশ্রয় করে দলীয় সরকারের অধীনে পরপর তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন করে ক্ষমতায় টিকে থাকেন শেখ হাসিনা। জুলাই অভ্যুত্থানে গত বছর ৫ আগস্ট তার পতন ঘটে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে (রিভিউ) আপিল বিভাগে আবেদন করা হয়।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মনোনয়ন পাওয়ার একদিন পর স্থগিত—কে এই কামাল জামান মোল্লা

ঢাকায় আসছেন না ড. জাকির নায়েক

সভা শেষে ফেরার পথে প্রাণ গেল তিন বিএনপি কর্মীর

মুচলেকায়  মুক্তি / ঢাকা কলেজে ছাত্রলীগ কর্মীকে পুলিশ দিল শিক্ষার্থীরা 

মেডিক্যাল শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

উত্তরাধিকার সূত্রে ধানের শীষের প্রার্থী যারা

নভেম্বরের ৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৩৫০ মিলিয়ন ডলার

এশিয়া কাপ বিতর্কে বড় শাস্তি পেলেন পাকিস্তানি পেসার

‘তত্তাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল রায়ের অভিশাপ ভোগ করছে পুরো জাতি’

আশাশুনিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল

১০

কুমিল্লার রামমালা গ্রন্থাগার দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

১১

কেশবপুর আসনটি বিএনপিকে উপহার দিতে চান শ্রাবণ

১২

চূড়ান্ত হলো বিপিএলের পাঁচ দল

১৩

প্রাথমিকের সংগীত ও শরীরচর্চা শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সরকারের নতুন বার্তা

১৪

গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোট করতে চান এনসিপির সোহাগ

১৫

রাতে মাঠে নামছে লিভারপুল-রিয়াল মাদ্রিদ, খেলা দেখবেন যেভাবে

১৬

মনোনয়ন না পাওয়া নেতাদের উদ্দেশে যা বললেন মির্জা ফখরুল

১৭

প্রার্থিতা হারিয়ে বিএনপি নেতার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

১৮

ভোটারপ্রতি সর্বোচ্চ যত টাকা ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থী

১৯

জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

২০
X