কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম
আপডেট : ১২ জুলাই ২০২৩, ০২:৩৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

গুলশানের সাবেক এসআই দম্পতির কারাদণ্ড

আদালতে গুলশান থানার সাবেক উপপুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ কবির। ছবি : কালবেলা
আদালতে গুলশান থানার সাবেক উপপুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ কবির। ছবি : কালবেলা

অর্থ পাচার আইনের মামলায় রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক উপপুলিশ পরিদর্শক ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভাকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আসামি ফিরোজ বরিশাল জেলার পুলিশ পরিদর্শকও ছিলেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু বিষয়টি কালবেলাকে জানিয়েছেন।

এদিন জামিনে থাকা দুই আসামি আদালতে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

অর্থ পাচারের অভিযোগে ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১০ মার্চ আদালতে দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে দুদক।

রায়ের আদেশে বলা হয়েছে, আসামি ফিরোজ কবিরকে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ছয় বছরের কারাদণ্ড ও অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ মূল্যের সমপরিমাণ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা দণ্ডিত করা হয়। আসামি সাবরিনা আহমেদ ইভাকে অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। আসামি ফিরোজ কর্তৃক অর্জিত অপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(৩) ধারা অনুযায়ী রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হলো। আসামি ফিরোজকে অর্থদণ্ডের টাকা ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ প্রদান করা হলো।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট তিন কোটি নয় লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহ পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অঙ্কের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অঙ্কের লেনদেন হয়েছে তা বেতন-ভাতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষসংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শীর্ষে পাকিস্তান ও দুইয়ে বাংলাদেশ, কোথায় অবস্থান ভারতের

এক-এগারোর সরকার তো একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সরকার ছিল : তারেক রহমান

ইরান-সমর্থিতদের হামলায় ডাচ জাহাজের ক্রু নিহত

এবার আহানের বিপরীতে শর্বরী

ক্যানসারে আক্রান্ত সাবেক ব্রাজিল তারকা

বিকেলে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ, খেলা দেখবেন যেভাবে

নতুন ২ টিভির লাইসেন্স পেলেন যারা

দল হিসেবে আ.লীগের বিচারে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু, কর্মকর্তা নিয়োগ

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে যা বললেন তারেক রহমান

লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

১০

স্টার্ককে নিয়ে ভারত সিরিজের জন্য শক্তিশালী দল ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

১১

অকাল বার্ধক্য ডেকে আনছে আপনার প্রতিদিনের যে ২ খাবার

১২

প্রধানমন্ত্রীর সংসদ ও দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে যা বললেন তারেক রহমান

১৩

পৌনে ৩ ঘণ্টা পর সিলেট থেকে ট্রেন চলাচল শুরু

১৪

দেশে ফিরে নির্বাচন নিয়ে যা বললেন জামায়াত নেতা তাহের

১৫

সহকর্মীর গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপ

১৬

পুরোনো টুথব্রাশ ব্যবহার করলে হতে পারে যেসব ক্ষতি

১৭

বরাদ্দের চাল ‘জোরপূর্বক’ নিয়ে গেল নারী ইউপি সদস্য

১৮

অন্তর্বর্তী সরকার সফল হোক : তারেক রহমান

১৯

বিশ্বকাপের ম্যাচে আজ বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড

২০
X