কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০১:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

পুলিশের শিবলীর শত শত বিঘা জমি

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান। ছবি : সংগৃহীত
পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান। ছবি : সংগৃহীত

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান দুর্নীতি করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। বারবার দুর্নীতির অভিযোগে বিভিন্ন জায়গায় বদলি করা হয়। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠলে তাকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। কিন্তু কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করেননি সেখানেও।

দুর্নীতি, ঘুষবাণিজ্য ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বনে গেছেন হাজার কোটি টাকার মালিক। গাজীপুর ১০০ বিঘা জমিতে মেসার্স এন এ এগ্রো, গোপালগঞ্জে ৪০০ বিঘা জমিতে সর্দার এগ্রো এবং রাজধানীর খিলক্ষেতে অটো হ্যাভেন নামে গাড়ির শোরুমের মালিক শিবলী নোমান। এ ছাড়া আছে ডুপ্লেক্সসহ একাধিক বাড়ি ও ফ্ল্যাট। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাকারবারিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকারও অভিযোগ রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান গাজীপুর ও নিজ এলাকা গোপালগঞ্জে সম্পত্তির পাহাড় গড়ে তুলেছেন। গোপালগঞ্জে ৪০০ বিঘা জমিতে সর্দার এগ্রো নামে একটি ফার্ম গড়ে তুলেছেন। এই ফার্মে কাজ করেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক। সেখানে ৫টি পুকুর আছে শিবলীর। শেওড়াবাড়ী এলাকায় অবস্থিত ফার্মের উত্তর পাশে প্রথম পুকুরের আয়তন ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ, দ্বিতীয়টির ৭১ দশমিক ১০ শতাংশ, তৃতীয়টির ৯৩ শতাংশ আর চতুর্থটির আয়তন ৬৬ শতাংশ । বিশালাকৃতির আরেকটি পুকুরের আয়তন ২ একর ৮৬ শতাংশ। এ ছাড়া ফার্মের দুপাশের জলাভূমিতে বিপুল পরিমাণ জায়গা কিনেছেন সাবেক এই অতিরিক্ত উপকমিশনার। এর মধ্যে উত্তর পাশে কেনা জলাভূমির আয়তন ৯ একর ৮৪ শতাংশ। আর দক্ষিণ পাশের আয়তন ১২ একর ৪০ শতাংশ।

জানা গেছে, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার অবসরে যাওয়ার আগে অবৈধ আয়ের টাকা বিভিন্ন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছেন। তিনি গাজীপুর মহানগরের ২২৭/১ পাজুলিয়া অঞ্চলে ১০০ বিঘা জমি কিনে সে জমিতে মেসার্স এন এ এগ্রো নামে একটি ফার্ম গড়ে তুলেছেন। রাজধানীর খিলক্ষেতে অটো হ্যাভেন নামের গাড়ির শোরুমের মালিক শিবলী নোমান। বিদেশ থেকে আমদানি করা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামি গাড়ির শোরুমটি শিবলী নোমান নিজেই দেখাশোনা করেন। তবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই সন্তান ও আত্মীয়স্বজনের নামে। এ ছাড়া স্ত্রীর নামেও আছে অনেক সম্পদ।

খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, মামলা নিয়ে বাণিজ্যে বেশ পটু ছিলেন শিবলী নোমান। টাকা দিলেই ছোট মামলাকে বড় করতে বিভিন্ন ধারা যুক্ত করে গ্রেপ্তার ও হয়রানি করতেন। আবার টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম কেটে দিতেন অনেকের। প্রভাব খাটিয়ে চাকরিতে নিয়োগের সুপারিশ করতেন। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পুলিশে চাকরি এবং পদোন্নতির ব্যবস্থা করা ছিল তার মূল কাজ। বিভিন্ন পদে পদোন্নতির জন্য ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা নিতেন। এ ছাড়া কনস্টেবল, এসআই নিয়োগে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা ঘুষ নিতেন তিনি।

এসব অভিযোগ সম্পর্কে সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার এস এম শিবলী নোমান কালবেলাকে বলেন, আমার কোনো অবৈধ সম্পত্তি নেই। গোপালগঞ্জে যেসব পুকুর ও সম্পত্তি আছে, তা আমার পূর্বপুরুষের।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ছাড়া বিপ্লব হবে অপূর্ণ : ডা. তাহের

স্মরণসভায় সাংবাদিকরা / গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার প্রশ্নে কোনো আপস করেননি আবদুস শহিদ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী ৬ সেপ্টেম্বর

নেইমারের জন্য আবার দুঃসংবাদ

পাচারের সময় সীমান্তে অস্ত্র উদ্ধার

যেভাবে বুঝবেন আপনার শরীরে কোলেস্টেরল বাড়ছে

‘রিট করার মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে বানচালের পাঁয়তারা চালাচ্ছে শিবির’

কুমিল্লায় একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় সেই বাসটি জব্দ

অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে কোটি টাকার গহনা উধাও

বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণে আরও সময় প্রয়োজন : ডিসিসিআই সভাপতি

১০

‘অলৌকিকভাবে’ ঘরবাড়িতে ধরছে আগুন, আতঙ্কে গ্রামবাসী

১১

দুবাইয়ে ওমান প্রবাসীর হাতে বাংলাদেশি যুবক খুন

১২

ঢাবিতে ফজলুর রহমানের কুশপুত্তলিকা দাহ

১৩

ফজলুর রহমানকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিল বিএনপি

১৪

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল / ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত

১৫

রাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফরম বিতরণ শুরু

১৬

উপদেষ্টা আসিফের নামে ভুয়া ছবি প্রচার

১৭

নিজের চুল থেকে তৈরি টুথপেস্ট সুরক্ষা দেবে দাঁতকে : গবেষণা

১৮

খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী

১৯

নখসহ মানুষের আঙুল পাওয়া গেল চিকেন রোলে, অতঃপর...

২০
X