নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০১:৫৩ পিএম
আপডেট : ১৯ জুলাই ২০২৩, ০৩:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

কেন জেপি নেতা সালাম খুন হলো, জানাল পুলিশ

জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা সালাম বাহাদুর। পুরোনো ছবি
জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা সালাম বাহাদুর। পুরোনো ছবি

রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার কলেজ গেট এলাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে যাওয়া জাতীয় পার্টির (জেপি) নেতা সালাম বাহাদুর ওরফে আব্দুস সালাম মিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজধানী ও মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার গাজিন্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা দুজন সম্পর্কে মা-মেয়ে। তবে গ্রেপ্তারদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) ভোর রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে গত ১৫ জুলাই রাত ১১টার দিকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। জানা গেছে, নিহত ব্যক্তির নাম সালাম বাহাদুর ওরফে আব্দুস সালাম মিয়া (৬০)। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তে নেমে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে সব ক্যামেরা অকার্যকর পায় পুলিশ। পরে পরিবার ও মোবাইল ট্রাকিং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে দুই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নারীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তথ্যের বরাত দিয়ে ডিসি আজিমুল হক বলেন, নিহত সালামের সঙ্গে মেয়েটির রাজধানীর ধানমন্ডির একটি সুপার শপে ৫-৬ বছর আগে পরিচয় হয়। চাকরি দেওয়ার কথা বলে হওয়া পরিচয় থেকে অনৈতিক সম্পর্কে রূপ নেয়। আর এই সম্পর্কে বিভিন্ন মুহূর্ত গোপনে ধারণ করে রাখেন সালাম। এরপর শুরু হয় ব্লাকমেই।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, সালামের এমন কাজে দিশেহারা মেয়েটি ঢাকা ছেড়ে মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিজ বাড়িতে চলে যায়। কিন্তু সালামের ব্লাকমেইল চলতেই থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৫ জুলাই বিকেলে সালাম মেয়েটির বাড়িতে যায়। সে যাওয়ার আগে মেয়ের পরিবার স্থানীয় কয়েকজনকে বিষয়টি জানায়। সালাম মেয়েটির বাড়িতে যাওয়ার পরেই শুরু হয় নির্যাতন। স্থানীয় কয়েকজনের সহায়তায় সালামের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য বারবার নির্যাতন করা হয়।

পরে সালাম গুরুতর অসুস্থ হয়ে গেলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আনার পথে মৃত্যু হয়। সালামের মৃত্যুর বিষয়টি টের পেয়ে অন্যরা নেমে যায়। এরপর গ্রেপ্তার মেয়ের মা সালামের লাশ গাড়িতে করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ফেলে পালিয়ে যায়। লাশ উদ্ধার শেষে নিহত সালামের শরীরে বিভিন্ন ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন দেখতে পায় পুলিশ, বলেন তিনি।

ডিসি আজিমুল হক বলেন, এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গ্রেপ্তার মা-মেয়েকে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

পিকে হালদারের সহযোগী তাজবীরের জামিন

চট্টগ্রামে মিলল বিপুল জাল টাকা

পেনাল্টিতে গোল হজম করে বিরতিতে হামজারা

১৭ থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত ২৯ জেলায় বৃষ্টির আভাস

মিরপুরের আগুনের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬

নভেম্বরে গণভোট চাওয়াদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে কিনা, প্রশ্ন রিজভীর

ফ্রান্সে ‘আশা এবং আমার সংগ্রাম’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

শাপলা প্রতীক না পাওয়ার প্রশ্নে যা বললেন সারজিস আলম

দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জাপানের কাছে ব্রাজিলের হার

ভারত থেকে উদ্ধার দুই বাংলাদেশি তরুণী

১০

শিক্ষা উপদেষ্টাকে আইনি নোটিশ

১১

বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির নতুন কমিটি ঘোষণা

১২

সরিয়ে দেওয়া হলো শিক্ষার ডিজিকে 

১৩

ভিকারুননিসার ছাত্রীকে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

১৪

গাজাকে নতুন করে নির্মাণ নিয়ে কী বলছেন ট্রাম্প

১৫

সিজেএফবি বিশেষ সম্মাননা পাচ্ছেন  / বেবী নাজনীন, পূর্ণিমা এবং কাজী জেসিন

১৬

শিশুশ্রম নিরসনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে গণমাধ্যমকে এগিয়ে আসতে হবে

১৭

টিকটক বানাতে গিয়ে প্রাণ গেল হৃদয়ের

১৮

সেপ্টেম্বরে সড়কে ঝড়ল ৫০২ প্রাণ

১৯

ধবলধোলাই এড়ানোর ম্যাচে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে চার পরিবর্তন

২০
X