বরিশালে দুই ধাপে ‘বাংলা ব্লকেড’ করে রেখেছেন কোটাবিরোধী আন্দেলনকারী শিক্ষার্ধীরা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকাল ১১টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত বরিশালের নতুল্লাবাদ ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন ব্রজমোহন কলেজ ও অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর দ্বিতীয়ধাপে বেলা ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক ব্লকেড ও পরে প্রতিবাদী মশাল মিছিল বের করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার ব্রজমোহন কলেজ ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দুই ধাপের এই ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় একদফা দাবিতে বৈষম্যমূলক সব কোটা বাতিল প্রস্তাব রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।
ব্রজমোহন কলেজের (বিএম) হুজাইফা রহমান বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন করছি। সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কার বা বাতিল চাই। সারা বাংলার শিক্ষার্থীরা একযোগে এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক সুজয় শুভ বলেন, বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের দাবি সারা দেশের সাধারণ শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। যেখানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বেলা ৩টায় বিক্ষোভ মিছিল করে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন।
আন্দোলন সফল করতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে। যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এর আগে পাঠদান ও পরীক্ষা বর্জনের ডাক দেন একাধিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দর্শন বিভাগের নিবেদিকা দাস বলেন, বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে আমরা সবসময় আন্দোলন করছি। এই কোটা ব্যবস্থার কারণে প্রত্যেক বছর দেশ ছাড়ছে হাজারো মেধাবী শিক্ষার্থী। আমরা দ্রুত এ কোটা পদ্ধতির সংস্কার চাই।
এদিকে সড়ক অবরোধে সব যানবাহন আটকে পড়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে সাধারণ জনগণ। পটুয়াখালী থাকা আসা এক যাত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। কিন্তু বেশি সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখলে আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ আন্দোলনের একটা সমাধান দরকার। যাতে সাধারণ জনগণের ভোগান্তি কমে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো. জাহিদুল ইসলাম, আইন বিভাগের শহিদুল ইসলাম ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের রিফাত। আর বিএম কলেজের আন্নান উদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান, এস এম হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন