শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য, প্রক্টরসহ ১৯ জন শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) দুপুরে তাদের পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম ও জনসংযোগ বিভাগের উপপরিচালক ফয়সল আহমেদ রুমি।
পদত্যাগকৃতরা হলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইয়া ও প্রক্টর ড. মো. আব্দুল কাইউম।
এছড়াও পদত্যাগ করেছেন সহকারী প্রক্টর মো. গাজীউর রহমান, ড. মোহাম্মদ মাহফুজ আলম, মো. ফরহাদ উদ্দীন, শাওন মিত্র, মো. সাইফুল ইসলাম, পম্পা রানী মজুমদার, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ড. তারেক মাহমুদ আবীর, শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবদুল বাতেন চৌধুরী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রভোস্ট ড. হেনা রানী বিশ্বাস, শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ড. ইসরাত জাহান, টিএসসির পরিচালক ড. রহিমা নাসরিন, শারীরিক শিক্ষা অফিস পরিচালক সৈয়দ আশিক-ই-ইলাহী, পরিবহন পুলের ম্যানেজার মো. মিজানুর রহমান, শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষক আব্দুল্লাহ আহমেদ ফয়সাল, মোহাম্মদ সাকিবুল হাসান, বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষক মো. কবির হাসান।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, সোমবার (১৯ আগস্ট) আমাদের বিক্ষোভ থেকে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের আলটিমেটাম দেওয়া হয়। মঙ্গলবার সকাল থেকে তাদের পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন শিক্ষার্থীরা। তারা একাডেমিক ভবনের নিচে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। একপর্যায়ে উপাচার্য ও প্রক্টর পদ্যাত্যাগ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের উপপরিচালক ফয়সল আহমেদ রুমি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য এবং প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। উপাচার্যের পদত্যাগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। সেখানে তিনি যোগদান করবেন। আর প্রক্টর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি তার পূর্বের পদে থাকবেন।’
রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, তারা সবাই ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন বলে পত্রে উল্লেখ করেছেন।
পদত্যাগের বিষয়টি স্বীকার করে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূইয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য আমি সব সময় তাদের পাশে থেকেছি। তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছি। শিক্ষার্থীদের ভালোর জন্য আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’
২০২২ সালের ১৯ এপ্রিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার হিসেবে যোগদান করেন বদরুজ্জামান ভূইয়া। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিনের মেয়াদ শেষ হয়। এর কয়েকদিন পরই উপাচার্যের রুটিন দায়িত্ব পান ট্রেজারার বদরুজ্জামান। ২০২৪ সালের ৪ মার্চ তাকে উপাচার্য পদে সরাসরি নিয়োগ দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন