পিএসসি সংস্কারসহ সব নিয়োগ পরীক্ষায় পুলিশ ভ্যারিফিকেশন কমিটির হাতে হস্তান্তর প্রত্যাহার, নারী ও বিজ্ঞান কোটা বাতিলসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় শহীদ রফিক ভবনের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি জানান।
এ সময় বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি, প্রশ্নফাঁস ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে ধরেন তারা। পাশাপাশি এসব অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
তাদের দাবিগুলো হলো:
১। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তরসহ ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত সকল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রিলির পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষাও নিতে হবে।
২। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ আসলে বস্তুনিষ্ঠ প্রমাণসাপেক্ষে সেই পরীক্ষা বাতিল করতে হবে।
৩। সুপারিশ বাণিজ্য রোধে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমাতে হবে।
৪। প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি, প্রক্সি ও ডিভাইস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।
৫। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগে ২০% অগ্রাধিকারভিত্তিক বিজ্ঞান কোটা বাতিল করতে হবে।
৬। স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি নিয়োগে আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনতে হবে।
৭। চূড়ান্ত মেধাতালিকার সঙ্গে পদসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করে তা থেকে এক বছরের মধ্যে নিয়োগ দিতে হবে।
৮। BSCIC, CGDF, বিমান বাংলাদেশ, খাদ্য অধিদপ্তর, BIBM, রেলওয়ে ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পূর্ববর্তী নিয়োগগুলো উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের আওতায় আনতে হবে।
৯। বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে পুলিশ ভ্যারিফিকেশন কমিটির হাতে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।
১০। শিক্ষক নিয়োগে ৩০% নারী কোটা বাতিল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পিএসসি সংস্কার আন্দোলন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একের পর এক দুর্নীতি, প্রশ্ন ফাঁস, সুপারিশ বাণিজ্য আমাদের হতাশ করছে। আমরা শুধু মেধা ও ন্যায্য প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চাকরি চাই। তাই এ দাবিগুলো আমাদের মৌলিক অধিকার আদায়ের পথ।
আরেক শিক্ষার্থী জেসমিন আক্তার বলেন, নারী কোটা বা বিজ্ঞান কোটা নয়, নিয়োগ হতে হবে প্রার্থীর যোগ্যতা যাচাইয়ের ভিত্তিতে। কোটা প্রথার অপব্যবহার মেধাবীদের বঞ্চিত করছে।
তারা বলেন, এসব দাবির দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে সারাদেশে আরও বড় পরিসরে ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মন্তব্য করুন