চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এক কর্মীকে মারধরে অভিযোগ উঠেছে। মারধরের শিকার ওই ছাত্রলীগ কর্মী বিজয় গ্রুপের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল।
বুধবার (২১ মে) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের পর দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে অভিযুক্ত ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রক্টর কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মারধর ও হামলার অভিযোগে গত ২০ জানুয়ারি ৮৪ জনকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। ওই ৮৪ জনের মধ্যে নাম একজন ছিলেন মারধরের শিকার ইমন চন্দ্র বর্মন। তবে ক্যাম্পাসে তিনি হিমাদ্র নামেই পরিচিত। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের অনুসারী।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, বেশ কয়েকদিন ধরেই ইমন চন্দ্র বর্মন ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন। এ খবর পেয়ে আজ দুপুর দেড়টার দিকে ক্লাস করতে যাওয়ার সময় মারধর করে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসে কিছু শিক্ষার্থী।
এদিকে মারধরের সঙ্গে জড়িতরা ছাত্রদলের কর্মী বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রলীগ কর্মী।
ভুক্তভোগী ইমন চন্দ্র বর্মন কালবেলাকে বলেন, আমি আন্দোলনের বিপক্ষে ছিলাম না। বহিষ্কারাদেশের পর আমি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছি। আমার ব্যাচের বন্ধুরাও বহিষ্কারাদেশের পর আমার পক্ষে স্বাক্ষর করে। আমি যদি আন্দোলনের বিপক্ষে থাকতাম তাহলে তারা কেন আমার পক্ষে স্বাক্ষর করত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চবি ছাত্রদলের জৈষ্ঠ সিনিয়র সহসভাপতি মামুনুর রশিদ কালবেলাকে বলেন, ‘আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের একজন কর্মী কীভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করে আমার বুঝে আসে না। তবে মারধরের বিষয়ে তিনি বলেন, তাকে (ভুক্তভোগী) মারধর করেছে বলে এমন কোনো প্রমাণ আছে, আমার মনে হয় না। তবে সে যদি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের কর্মী হয়ে থাকে তাহলে এটাই যথেষ্ট ‘
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক বজলুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রলীগের ওই কর্মী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হয়। তবে সে ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে জানতে পেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী তাকে প্রক্টর অফিসে নয়ে আসে।
পরে বহিষ্কারাদেশ নিষ্পত্তি হওয়া পর্যন্ত ক্লাস ও ক্যাম্পাসে অবস্থান করবে না এই মর্মে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাকে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়।
মন্তব্য করুন