প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রোগ্রামিং ক্লাব দিনব্যাপী অন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা এবং কম্পিটিটিভ প্রোগ্রামিং পাথওয়ে শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে। প্রতিযোগিতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক প্রাণবন্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই প্রতিযোগিতায় প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ৭০ প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার্থীদের প্রোগ্রামিং দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বাস্তবমুখী সমস্যার সমাধানে তাদের উদ্বুদ্ধ করা। প্রতিযোগীদের সামনে আটটি গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য উপস্থাপন করা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় পুরস্কার বিতরণী এবং সেমিনার।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল কবির এবং সভাপতিত্ব করেন স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন ও সিএসই ডিপার্টমেন্টের হেড অধ্যাপক ড. শহিদুল ইসলাম খান নাঈম।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে প্রতিযোগিতা আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রোগ্রামিংয়ের আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে এ ধরনের উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে এই আয়োজন আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সম্প্রসারিত করা হবে এবং এটি আন্তর্জাতিক প্রোগ্রামিং জগতে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি তথা বাংলাদেশের অবস্থানকে আরও সুসংহত করতে হবে। উল্লেখ্য, প্রথম ১০ বিজয়ীকে সম্মাননা স্মারক ও পুরস্কার প্রদান করা হয়। আটটি প্রোগ্রামিং সমস্যার মধ্যে চারটির সমাধান করে প্রথম স্থান অধিকার করেন সিএসই ডিপার্টমেন্টের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র কামরুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের বক্তারা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর প্রচেষ্টা এবং ক্লাবের কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। প্রতিযোগিতার আয়োজন এবং সেমিনার সফল করতে প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রামিং ক্লাবের সদস্য এবং স্বেচ্ছাসেবকদের প্রচেষ্টা ছিল প্রশংসনীয়। সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সিএসই ডিপার্টমেন্টের লেকচারার বুয়েট অ্যালামনাই অর্ক শিকদার।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্লাবগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আরও বেশি শিক্ষামূলক এবং প্রতিযোগিতামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। স্কুল অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. শহিদুল ইসলাম খান জানান, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি ভবিষ্যতে নিয়মিত এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা ও মেধা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মন্তব্য করুন