জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিদাতা ও প্রখ্যাত দানবীর জমিদার কিশোরী লাল রায়ের শততম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রফিক ভবনে তার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় এক প্রার্থনা সভার আয়োজন করেন শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল।
এসময় সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতন ধর্মাবলম্বী সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থেকে প্রয়াত কিশোরী লাল রায়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম ভূমিদাতা কিশোরী লাল রায়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হলো।
এবিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক রবিউল আউয়াল বলেন, “আমরা আজ যে বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছি, সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিত্তি গঠনে কিশোরী লাল রায়ের অবদান অবিস্মরণীয়। তার উদারতা ও শিক্ষানুরাগী মানসিকতা নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। জাতি তার এই আত্মত্যাগ চিরদিন গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করবে।”
এছাড়া প্রার্থনা সভায় শিক্ষার্থীরা বলেন, “কিশোরী লাল রায়ের মহান দান এবং ত্যাগের ফলেই আজ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এই অবস্থানে পৌঁছেছে। তার মতো দানবীররা জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকবেন।” সভায় তার আত্মার মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, বালিয়াটির এক সময়ের প্রতাপশালী জমিদার ও ব্রিটিশ সরকার থেকে রায় খেতাবপ্রাপ্ত কিশোরীলাল রায় চৌধুরী এ দেশের শিক্ষা বিস্তারের জন্য ১৮৬৮ সালে তার বাবা জগন্নাথ রায়ের নামে স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর কলেজ, তারপর ২০০৫ সালে আইন পাশের মাধ্যমে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপ নেয়। ১৮ বছরের যৌবন পার হতে চলা এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ১৬ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী ও প্রায় ৮০০ শিক্ষক রয়েছেন। বিসিএস, ব্যাংক, জুডিশিয়ারি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রতিটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে থাকেন। নানা গবেষণায়ও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কৃতিত্ব দেখাচ্ছেন।##
মন্তব্য করুন