গত ৩১ আগস্ট বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষা পরিষদের অনুষ্ঠিত জরুরি সভাকে ঘিরে একদিকে নাটকীয় পরিস্থিতি, অন্যদিকে সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
সভায় গৃহীত তিনটি পৃথক ডিগ্রি (বিএসসি ইন ভেট সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি, ডক্টর অব ভেটেরিনারি মেডিসিন (ডিভিএম), বিএসসি ইন অ্যানিম্যাল হাজবেন্ড্রি) চালুর সিদ্ধান্তে দ্বিমত পোষণ করেছে সভায় উপস্থিত প্রায় ২০ শতাংশ শিক্ষক।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৬ শিক্ষক জাতীয় স্বার্থবিরোধী আখ্যায়িত করে সভায় গৃহীত ৪ ও ৫নং সিদ্ধান্তের বিপক্ষে সম্পূর্ণ দ্বিমত পোষণ করে আনুষ্ঠানিকভাবে নোট অব ডিসেন্ট দাখিল করেছে।
গত ২ সেপ্টেম্বর ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. বাহানুর রহমান স্বাক্ষরিত ৫৬ শিক্ষকের ওই নোট অব ডিসেন্ট গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হেলাল উদ্দীন ।
জানা যায়, ৪নং সিদ্ধান্তে কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে ১৫০ শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় ও ৫নং সিদ্ধান্তে ভেটেরিনারি অনুষদের ডিভিএম ডিগ্রিতে ৫০ জন ও পশুপালন অনুষদে ৫০ শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, শিক্ষা পরিষদের সভায় কমিটির ছয়টি সুপারিশ সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়েছে বলে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তা সঠিক নয়। সভায় মোট ১৬ শিক্ষক বক্তব্য দেন, তাদের মধ্যে ১১ জন ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের বিশেষজ্ঞ ছিলেন না। অথচ বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের মতামত উপেক্ষা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও জানায়, কম্বাইন্ড ডিগ্রির সমাধানে গঠিত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি ১১টি অংশীজনের সঙ্গে ২১টি মতবিনিময় সভা করে। এর মধ্যে ৯টি অংশীজন একক কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর পক্ষে মত দেয়। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের মতামত উপেক্ষা করে কমিটি তিনটি পৃথক ডিগ্রির প্রস্তাব দেয়।
ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষকদের দাবি, এটি অংশীজনদের প্রত্যাশার সঙ্গে যায়নি। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, জাতীয় স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা বিবেচনায় ভেটেরিনারি অনুষদের সব শিক্ষক শুধু একটি কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালুর পক্ষেই একমত।
মন্তব্য করুন