চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় অন্তত ছয়বারের মতো সংঘর্ষ হয়। দুই দিন ধরে চলা এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় ৫০-৬০ জনকে রাম দা হাতে দেখা যায়। এদের মধ্যে তিনজনের নাম-পরিচয় শনাক্ত করা গেছে।
এদের মধ্যে একজনের নাম সুলতান মাহবুব। তিনি চবির লোকপ্রশাসন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। শাখা ছাত্রলীগের উপপ্রচার সম্পাদক তিনি। মাহবুব সিএফসির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) ছাত্রলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষের ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে রাম দা হাতে তাকে দেখা গেছে। রাম-দা হাতে তিনি এদিক-ওদিক ছুটছিলেন।
শুধু তিনিই নন, রাম দা হাতে সংঘর্ষে জড়ানো আরও দুজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তারা হলেন- যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের সহসম্পাদক রুবেল মিয়া ওরফে মাহিন রুবেল এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ কর্মী মোহাম্মদ সফল। দুজনই সিক্সটি নাইনের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।
বিভিন্ন ছবি, ভিডিও ফুটেজ, গোয়েন্দা সংস্থা ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য এবং ছাত্রলীগের বহু নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।
র্যাগ ডে উদযাপনকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সংঘর্ষে জড়ান সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে রাম-দা হাতে থাকা সুলতান মাহবুব থাকেন শাহ আমানত হলের একটি কক্ষে। এ হলটি নিয়ন্ত্রণ করেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি মির্জা খবির সাদাফ।
রুবেল মিয়া ও মোহাম্মদ সফল থাকেন শাহজালাল হলে। এ হলের নিয়ন্ত্রণ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর হাতে।
রাম-দা হাতে সংঘর্ষে অংশ নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন সুলতান মাহবুব। তিনি বলেন, সংঘর্ষে রামদা হাতে দুই পক্ষ থেকে অনেকেই বের হয়েছিলেন। তিনি একা ছিলেন না। অন্যদিকে মোহাম্মদ সফলের দাবি, তিনি ঘটনাস্থলেই ছিলেন না। ছবি ও ভিডিও ভুয়া। আর রুবেল বলেন, তিনি সংঘর্ষে ছিলেন। তবে তার হাতে রামদা ছিল না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘তদন্ত কমিটি গঠন করে সংঘর্ষে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন