বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) বঙ্গবন্ধু হলের কক্ষে আটকে রাতভর ছাত্রলীগের নামধারীদের হামলায় আহত আবাসিক শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে শিবিরকর্মী আখ্যা দিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে এই কর্মসূচি করেছে ববি শিক্ষার্থীদের একাংশ। এসময় মুকুলের ওপর হামলার ঘটনাকে মিথ্যা ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধন শেষে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার এবং বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্টের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন।
সমাবেশে বক্তব্য দেন, ববির অনার্সের গণিত বিভাগের আবিদ হাসান, আইন বিভাগের মাহামুদুল হাসান তমাল, হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আহত দাবি করা শিক্ষার্থীর বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারণ হলের ৫ শতাধিক আবাসিক শিক্ষার্থীর কেউই ওই শিক্ষার্থীর বর্ণনানুযায়ী কোনো ঘটনা ঘটতে দেখেনি। মূলত সে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সংগঠন ছাত্রশিবিরের নেতা। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিতর্কিত করতে এই পরিকল্পিত ঘটনার জন্ম দেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. খোরশেদ আলম বলেন, কোনো গোষ্ঠী বা মহল যেন বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি না করতে পারে সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি। হামলার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই কমিটির রিপোর্ট হাতে আসলেই ঘটনা সত্যি না মিথ্যা তা বোঝা যাবে।
উল্লেখ্য, গত ১২ অক্টোবর রাতে বঙ্গবন্ধু হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে ইংরেজি বিভাগের দশম ব্যাচের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুকুল আহমেদকে রাতভর নির্যাতন করে হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপর বরিশাল শের ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুকুল তার ওপর হামলার অভিযোগ তোলেন একই বিভাগের ৮ম ব্যাচের অনার্স চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তানজিদ মঞ্জু ও সিহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ববিতে ছাত্রলীগের কোনো কমিটি না থাকলেও তানজিদ এবং শিহাব বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী নেতা হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় আহত শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর। ঘটনা তদন্তে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ববি কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য করুন