ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী হাসিবুল হাসান অন্তরকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।
নিহত অন্তর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শেষ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে।
সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা কালবেলাকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ৩০ অক্টোবর বিরুলিয়ার দত্তপাড়া থেকে অন্তরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাকে বিরুলিয়া ব্রিজের নিচে নিয়ে মারধর করা হয়। মারধরে জ্ঞান হারালে তাকে খাগান বাজারের কাছাকাছি ফেলে রেখে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা অন্তরকে উদ্ধার করে প্রথমে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য অন্তরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
অন্তরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। পরবর্তীতে স্থানীয়দের কয়েকটি দোকান ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণবিষয়ক পরিচালক সৈয়দ মিজানুর রহমান রাজু বলেন, ‘বহিরাগতদের প্রহারে আমরা আমাদের পরিবারের এক সদস্যকে হারিয়েছি। এই ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। আমরা দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিদার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে আদালতে ১৬৪ ধরায় জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। মামলায় এজাহারে ৬ আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে দ্বিতীয় আসামি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাহাত। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মন্তব্য করুন