নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উপেক্ষা করে একতরফা তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ডাকা হরতালের সমর্থনে মিছিল করতে যেয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রগতিশীল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মিছিল করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়।
পরে কিছুক্ষণ বাগ্বিতণ্ডার পর সেখানেই অবস্থান ও মানববন্ধন করে তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরও সেখানে অবস্থান করতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কনোজ কান্তি রায়ের সঞ্চালনায় ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের আহ্বায়ক (একাংশ) আলিফ মাহমুদ বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে এ দেশে কখনোই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচন, ২০১৪ সাল কিংবা ২০১৮ সালের নির্বাচন কোনোটাই সুষ্ঠু হয়নি। এ ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে এবারও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না।’
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সংগঠক সোহাগী সামিয়া বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে যতগুলো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রত্যেকবারই তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে নির্বাচনে জয়লাভ করেছে। তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগ তাদের বাহিনী দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নষ্ট করছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেরুদণ্ড সোজা করে গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াতে পারছে না। যখনই দেশের মানুষ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলতে যায় তখনই সরকার পুলিশ বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে আন্দোলনকে বানচাল করার চেষ্টা করে।’
শ্রমিক ফ্রন্ট সাভার-আশুলিয়ার সাধারণ সম্পাদক জীবন আহমেদ বলেন, ‘গতকাল একটা অবৈধ নির্বাচন কমিশনের অগণতান্ত্রিক তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। এ তফসিল ঘোষণা সম্পূর্ণ অবৈধ, অগণতান্ত্রিক। আমরা বরাবরই বলেছি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে নির্বাচন দিতে হবে। এ সরকারের অধীনে কখনোই নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। কিন্তু পুলিশ আজ আমাদের বিক্ষোভ মিছিলের শুরুতে বাধা দিয়ে থামিয়ে দিয়েছে। আমাদের থামানো যাবে না কারণ এই আন্দোলন আমাদের বাঁচার লড়াই। আমাদের বাঁচার তাগিদেই আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি।’
মন্তব্য করুন