চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপউপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দের সাথে চট্টগ্রামের ৮ জন মুক্তিযোদ্ধা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বুধবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ১নং সেক্টরের কমান্ডার আবুল কদর বলেন, আমরা সবাই মুক্তিযোদ্ধা। উপাচার্যও একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এবং মেয়ে। আমরা বাইরে থেকে যা শুনতেছি তা হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য আন্দোলন করছে কিন্তু তাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পৃক্ততা নেই। আমরা চাচ্ছি উপাচার্য ও শিক্ষক সমিতির সঙ্গে বসে সুরাহা করার জন্য। কিন্তু উপাচার্য বলছেন, শিক্ষক সমিতির সঙ্গে একাধিকবার সুরাহা করার জন্য তাদের আহ্বান করা হয়েছে কিন্তু তারা কর্ণপাত করেনি। ওরা কি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যার জন্য আন্দোলন করছে নাকি নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, উপাচার্যকে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ওনার সঙ্গে এগুলো করা মানে সরকারের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করা। আমাদের কথা হলো অন্য কোনো মানুষের এজেন্ডা যেন বাস্তবায়ন করতে না পারে। আমরা নিজেরাও চাই নিরপেক্ষ ও দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন।
উপউপাচার্য প্রফেসর বেণু কুমার দে বলেন, উপাচার্য এবং আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। আমার এমন কোনো অথরিটি নেই ওনার বিরুদ্ধে কথা বলার। উপাচার্যের বিরুদ্ধে কথা বলা মানেই রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কথা বলা।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক সমিতি দাবি করে আমি উপাচার্যের সহযোগী হিসেবে কাজ করছি কিন্তু না। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করছি। উপাচার্য আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি ৭৩-এর এ্যাক্টকে মেনেই তা পালন করেছি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম শিকদার, ফলিত রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. হেলাল উদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধে ১নং সেক্টর কমান্ডার মোজাফফর আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল হক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি নুরুল আবছার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.নূরউদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদন চন্দ্র বিশ্বাস।
মন্তব্য করুন