ক্যাম্পাসের চিত্রশিল্পীরা এই জায়গাটির নাম দিয়েছেন কলরব প্রাঙ্গণ। এখানেই হয় উৎসব, আমেজ আর চিত্রশিল্পীদের ফুটিয়ে তোলা গ্রাফিতির মাধ্যমে ক্যাম্পাস জীবনের উৎফুল্লতা। বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের মাঝখানের এ জায়গাটিতে হয় নানা আয়োজন। দেয়ালে গ্রাফিতি, গান-নাচ কিংবা প্রতিযোগিতা- কী না হয় এখানে! ক্যাম্পাসের আর্ট ও ফটোগ্রাফিভিত্তিক ক্লাব আর্টেক্স-এর আয়োজনে মুখরিত থাকে কলরব প্রাঙ্গণটি।
সম্প্রতি ক্লাবের শিল্পীরা আবারো নীরবতায় কলরব আয়োজনে ক্যাম্পাস সাজিয়েছে অন্যন্যরূপে, পাশাপাশি ছিল নানা আয়োজন। ছিল নানা প্রদর্শনী-পেইন্টিং, স্কেচ ও এবস্ট্রাকট আর্ট, ডিজিটাল আর্ট, ডুডল এবং মানডালা আর্ট ও ক্যালিগ্রাফি। আবার ছিল লাইভ ফেব্রিক পেইন্টিং সেগমেন্ট। নীরবতায় কলরব আয়োজনের আমেজ জমে টিশার্টের মাধ্যমে। নান্দনিক ডিজাইনে টিশার্ট নিয়েছে ৫ শত-এর বেশি শিক্ষার্থী। ক্যাম্পাসে যেন সবাই নীরবতায় কলরবের উৎসবে মেতেছে। টিশার্ট ডিজাইনে দেশের ঐতিহ্য ও টেক্সটাইল ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বুটেক্সের নতুন ভবন, হাতিরঝিল, টেক্সটাইলের নিটিং মেশিনের নিট ক্যাম, টাক ক্যাম, কার্ডিং মেশিনের টিথ, গিয়ার, কটনের ফুল, স্ট্যারি নাইটের আকাশ, আর্টিস্টের নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবহার করা জিনিসপত্র ও জামদানি নকশা, সব কিছুই রয়েছে টিশার্টে।
দেয়ালজুড়ে যে গ্রাফিতি করা হয়েছে তাতেও রয়েছে নানা বৈচিত্র্যতার সমারোহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বর্ষের শিক্ষার্থীরা দিন-রাত সময় দিয়েছে দেয়ালের পেছনে। পুরো ১১ দিনে করা গ্রাফিতিতে ফুটে উঠেছে স্ট্যারি নাইট, ঐতিহ্যবাহী বিষয়, জামদানির নকশা, গ্রামের বাচ্চাদের শৈশবের খেলাধুলা, পেঁচা এবং চরকিতে সুতা বোনা এসব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আয়োজনে আর্ট ও ফটোগ্রাফি বিভাগে সাড়া ছিল চোখে পড়ার মতো। এতে প্রায় ১ শত ৭০ এর বেশি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে সাড়া পাওয়া যায়। তার মধ্যে ষাটের বেশি ছিল আর্ট এবং একশত-এর বেশি ছিল ফটোগ্রাফি। এর মধ্যে সেরা ত্রিশটি আর্ট এবং পনেরটি ফটোগ্রাফ প্রদর্শনীর জন্য বাছাই করা হয়। প্রতিচ্ছবি প্রদর্শনীতে প্রায় ৪০ জনের অধিক শিল্পীর কাজ প্রদর্শিত হয়েছে।
টেক্সটাইল প্রকৌশলীদের বড় একটা অংশজুড়ে রয়েছে টেক্সটাইল ফ্যাশন ডিজাইনারদের দখলে। ক্যাম্পাসে চিত্রশিল্পীদের সৃজনশীলতা সামনে আনতেই নতুন সেগমেন্ট সবার সঙ্গে পরিচয় করানো হয়।
আয়োজনে লাইভ ফেব্রিক পেইন্টিং নামে প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়। এতে মোট ১২ জন প্রতিযোগী অংশ নেয়। টিশার্টে পেইন্ট করার সময় ছিল দেড় ঘণ্টা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অসাধারণ সব কনসেপ্টে ডিজাইন করেন শিক্ষার্থীরা।
মন্তব্য করুন