জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৯:৫০ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘গাঁজা সেবনের ফলে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্তের হার বাড়ছে’

জাবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক কাজী লুতফুল কবির। ছবি : কালবেলা
জাবি সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে সেমিনারে বক্তব্য রাখেন চিকিৎসক কাজী লুতফুল কবির। ছবি : কালবেলা

সরকারি মাদকাসক্ত ও চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান চিকিৎসক কাজী লুতফুল কবির বলেছেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা মাদকসেবী রোগীদের বেশিরভাগই দীর্ঘদিন গাঁজা সেবনের ফলে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। সিগারেটের মাধ্যমে তাদের মাদকের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন মাদকের নেশায় জড়িয়ে আসক্ত হয়ে পড়েন তারা। প্রাথমিক পর্যায়ে সহজে ফিরিয়ে আনা গেলেও দীর্ঘদিন মাদক সেবন করা ব্যক্তিদের চিকিৎসা ছাড়া এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দুষ্কর।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদ এবং শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শ কেন্দ্রের উদ্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। সোমবার (২৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মুখ্য আলোচক হিসেবে তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে গড়ে প্রতি ১৭ জনের একজন মাদকে আক্রান্ত। এ সংখ্যা প্রায় কোটির কাছাকাছি। সরকারি হাসপাতালে মাদকাসক্তির চিকিৎসার ব্যবস্থা খুবই অপ্রতুল। বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাধ সুযোগ এবং সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা মাদকের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের উপায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভাবতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার বলেন, আগে মানুষ নিজেদের মধ্যে আবেগ অনুভূতি আদান-প্রদান করত। কিন্তু বর্তমানে ইন্ডিভিজুয়ালিজম চর্চা বেড়ে গেছে। যৌথ পরিবারে ভাই-বোনসহ সবার মাঝে আগে যে মিথস্ক্রিয়া হতো, এখন সেটা হচ্ছে না। সবাই আলাদা আলাদা হয়ে থাকছে এবং অনলাইনেই বেশি সময় কাটাচ্ছে। ফলে সবার মধ্যে একাকীত্ব বাড়ছে। মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। হতাশা ভুলতে অনেকেই মাদকের প্রতি ঝুকছে। এছাড়া নানাবিধ কারণে মাদক সেবনের হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক বলেন, মাদকসেবীরা মাদককে আনন্দের বিষয়বস্তু মনে করে। নতুন অভিজ্ঞতা নিতে প্রথমবার মাদক সেবন করে। এরপর আর সেখান থেকে বের হতে পারে না। মাদকের কারণে স্বাস্থ্য, চিন্তা-চেতনা, ভবিষ্যৎ, পারিবারিক জীবন, ব্যক্তিজীবন সবকিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জগতে একবার প্রবেশ করলে বের হয়ে আসা অত্যন্ত কঠিন। মাদক থেকে দূরে থাকার লক্ষ্যে পারিবারিক বন্ধন ও ভালোবাসা জোরদার করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, মাদকের অপব্যবহারের মাধ্যমে তরুণদের বিপথগামী করা হচ্ছে এবং জাতির মেধা-মননকে ধ্বংস করা হচ্ছে। মাদক গভীরভাবে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় ঘটাতে পারে। তাই এর থেকে সকলকে দূরে থাকতে হবে।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নারীর ক্ষমতায়নে বরাদ্দ বাজেটের কার্যকর বণ্টন-বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নের দাবি

যে কারণে বিএনপির সঙ্গে দেখা করবেন না ডোনাল্ড লু

প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে গণধোলাই

লালমনিরহাটের সেই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী নাবিলা এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

আজ ঢাকায় আসছেন ডোনাল্ড লু

কারেন্ট জালে ধরা পড়া দুই শুশুককে পিটিয়ে মারল জেলেরা

১৪ মে : নামাজের সময়সূচি

মঙ্গলবার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণ, আটক ২

১০

হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন

১১

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গাজীপুরে গ্রেপ্তার

১২

মতলব উত্তরের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নোমান বহিষ্কার

১৩

গরম নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা

১৪

সরকারি গাছ কেটে মামলা খেলেন বিএনপি নেতা!

১৫

নাটোরে শিক্ষার্থীকে অপহরণ করে ধর্ষণ, যুবকের যাবজ্জীবন

১৬

এসএসসিতে পাশের খবরেও কাঁদছেন মুরাদের বাবা-মা

১৭

বগুড়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তার ওপরে চটলেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সফিক

১৮

বিয়ের ৫ মাস পর দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন

১৯

চবিতে বহিরাগতদের মোটরসাইকেল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

২০
X