চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র দখলকে কেন্দ্র করে শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় গ্রুপের ৫ জন নেতাকর্মী আহতের খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষে জড়ানো দুটি গ্রুপই শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়। মঙ্গলবার (২১মে) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে চবি শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ার (সিএফসি) ও বিজয়ের কর্মীরা চবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে অবস্থান করছিল। বিজয়ের কর্মীরা মোটরসাইকেল প্রতীক ও সিএফসির কর্মীরা ঘোড়া প্রতীকের পক্ষে কেন্দ্র দখলের চেষ্টা করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিজয়ের নেতা সালাহ উদ্দিনকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা।
এ ঘটনায় দুপক্ষের কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে ধাওয়া-পালটাধাওয়ার ঘটনায় প্রতিপক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং রামদা ও লাঠিসোঁটা হাতে মহড়া দিতে দেখা যায়। ইটের আঘাতে সিএফসির ৪ কর্মী ও বিজয়ের ১ কর্মীর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডি এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রুপগুলোর মধ্যে উত্তেজিত বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে সিএফসি গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব সোপান বলেন, স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে পাঁচ সাতজন দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের মাঝে কথাকাটাকাটির জেরে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্থবির রয়েছে। প্রশাসনকে বলা হয়েছে যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে।
বিজয় গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াস বলেন, সিএফসি রব হলের ছেলেরা ভোটকেন্দ্র দখল করতে চায়। আমার একটি ছেলে সেখানে তাদের বাধা দিলে সিএফসি নেতারা আমার ছেলেকে কোপ দেয়। বর্তমানে সবাই হলের মধ্যে অবস্থান করছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। সব শিক্ষার্থী হলের মধ্যে অবস্থান করছে। আহত শিক্ষার্থী আমাদের একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটি গঠন করব।
মন্তব্য করুন