রংপুরের মিঠাপুকুরে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শঠিবাড়ি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। দূর্গাপুর ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃতরা হলেন, উপজেলার দূর্গাপুরের রুমান মিয়া ও শঠিবাড়ির রাশেদ মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকাল পৌনে ১০টার দিকে স্বতন্ত্র এমপি জাকির হোসেন সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান কামু হেলিকপ্টার মার্কার পক্ষে ৭-৮ জন যুবক শঠিবাড়ি ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে। এ সময় পুলিশ বাধা দিলেও তাদের সঙ্গে চরম অশোভন আচরণ করেন। এরপর ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করে জোর করে ব্যালট পেপারের একটি বান্ডিল কেড়ে নিয়ে হেলিকপ্টার মার্কায় সীল দিতে থাকে। কর্তব্যরত পোলিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার ও পুলিশ ওই ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দুইজনকে আটক করে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রুহুল আমিন জানান, শঠিবাড়ি কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রুমান ও রাশেদ তাদের নিজেদের ভোট দেন। এরপর তারা ভোটকক্ষে পোলিং অফিসারদের কাছ থেকে ব্যালট ছিনিয়ে নিয়ে জাল ভোট দেন। এ সময় কর্মকর্তারা বাধা দিলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে কেন্দ্রের বাইরে পুলিশ তাদের আটক করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আটক দুই যুবক হেলিকপ্টার প্রতীকের কর্মী-সমর্থক বলে জানান স্থানীয়রা।
মিঠাপুকুর ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র বর্মন জানান, আটককৃতদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (ডি সার্কেল) আবু হাসান মিয়া জানান, এটি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বিষয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
মিঠাপুকুর উপজেলা চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ডল মওলা (মোটরসাইকেল), উপজেলা যুবলীগের সাবেক নেতা মো. কামরুজ্জামান (হেলিকপ্টার) ও স্বতন্ত্র শাহ সাদমান ইশরাক (আনারস) প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মন্তব্য করুন