ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে (গণরুম) র্যাগিংয়ের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। রোববার (২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ. এম. আলী হাসান স্বাক্ষরিত পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়া অন্য দুই বিজ্ঞপ্তিতে র্যাগিংয়ে জড়িত দুই শিক্ষার্থীকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে যুক্ত হলে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুদাচ্ছির খান কাফি ও একই শিক্ষাবর্ষের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাগর প্রামাণিক ও মো. উজ্জ্বল।
এ ছাড়া অর্থনীতি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক নাসিম আহমেদ মাসুম এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের মিসনো আল আসনাওয়ীকে সতর্ক করা হয়েছে। তারা সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী।
এদিকে ভুক্তভোগী অপু মিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞপ্তি সূত্রে, র্যাগিং বিষয়ে যাচাই-বাছাই সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশ ও ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির ১৩তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কাফি, সাগর ও উজ্জ্বলকে দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে তাদর কেন বহিষ্কার করা হবে না মর্মে আগামী সাত দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থন করে লিখিত জবাবের সুযোগ দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে রাতভর দফায় দফায় নির্যাতন চালানো হয় নবীন শিক্ষার্থী অপু মিয়াকে। এ সময় তাকে রড দিয়ে আঘাত করা, বিবস্ত্র করে টেবিলের উপর দাঁড় করিয়ে রাখা ও নাকে খত দেওয়ানোসহ নানাভাবে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে।
মন্তব্য করুন