ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ১১:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ডিভাইস আসক্তি অধিক হারে বেড়ে গেছে: অধ্যাপক মেহজাবিন

আকশনিস্ট ফাউন্ডেশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি : কালবেলা
আকশনিস্ট ফাউন্ডেশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা। ছবি : কালবেলা

ডিজিটাল ডিভাইসের প্রতি মানুষের আসক্তি দিন দিন অধিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যে কারণে সমাজে বাড়ছে নানা অসঙ্গতি। তাই এ আসক্তি নিয়ে কথা বলার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবিন হক।

মঙ্গলবার (১৩ জুন) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে আকশনিস্ট ফাউন্ডেশন এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বর্তমানে ডিভাইস আসক্তি অধিক হারে বেড়ে গেছে। এটি নিয়ে কথা বলার সময় এসেছে। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে বয়স্ক পর্যন্ত সবাই ডিভাইসের প্রতি অতিরিক্ত হারে আসক্ত হয়ে পড়েছে। একজন জুয়াড়িকে যেমন তার জুয়া থেকে সরানো যায় না; তেমনি একজন ডিভাইস আসক্তকে ডিভাইস থেকে সরানো যায় না। এই আসক্তিই ধীরে ধীরে মাদকের দিকে ধাবিত করে। ডিভাইস আসক্তির কারণে বাচ্চাদের সঠিক সামাজিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। বাবা-মা ছেলে-মেয়েদের ঠিকমতো সময় দিচ্ছে না এ আসক্তির কারণে। ফলে সম্পর্কের মাঝে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে। পিতা-মাতা এবং সন্তানের মাঝে সঠিক সম্পর্কটি গড়ে উঠছে না। এসব কারণেই একজন শিশু মাদকের দিকে যাচ্ছে এবং পর্যায়ক্রমে আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে।

অধ্যাপক মেহজাবিন বলেন, একজন মানুষ হিসেবে আমাদের যেমন একটা শারীরিক দিক আছে তেমনি একটা মানসিক দিকও আছে। অনেক সময় আমরা ভেঙে যাই, হতাশায় নিমজ্জিত হই। যে কারণে আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। ফলে বিভিন্ন সময় আমরা মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। এ জন্য আমরা যেমন শারীরিক দিক নিয়ে সচেতন থাকি তেমনি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সচেতন থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আখতার হোসেন বলেন, সাধারণত যারা কৈশোর এবং যৌবনে আছে তাদের মাঝে মাদক আসক্তি এবং আত্মহননের বিষয়টি কাজ করে। ঠিক বয়সের কারণে এটি ঘটে থাকে। আবার এখানে বিভিন্ন দিক সফলতা, পাওয়া না পাওয়া, আবেগসহ ইত্যাদি বিষয় কাজ করে থাকে। এ জন্য অভিভাবকদের অধিক হারে সচেতন থাকতে হবে।

তিনি আরও বলেন, তবে বর্তমান সময় বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে আত্মহত্যার পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী অনেকটি পর্যায় অতিক্রম করে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে; এক্ষেত্রে তাকে এ বিষয়টি উপলব্ধি করা প্রয়োজন। অনেকেই চাকরি না পাওয়া, অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে আত্মহত্যা করে। তবে একটি বিষয় মনে রাখা প্রয়োজন এখন চাকরির বাজারে অনেক প্রতিযোগিতা; তাই নিজেকে ভালোভাবে প্রস্তুত করতে হবে। চাকরির পাশাপাশি অন্যদিকেও মনোযোগ দিতে হবে।

এ ছাড়াও আলেচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, ইউনিলিভার কনজ্যুমার কেয়ার লিমিটেডের চেয়ারম্যান মাসুদ খান।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিখোঁজের ৩৩ বছর পর বাড়ি ফেরা সেই মোবারক মারা গেছেন

বরিশালে হেনস্থার ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন ফুয়াদ

সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী মঙ্গলবার

বিএনপির সঙ্গে আসন সমঝোতা না হলে যে পথে এগোতে চায় জমিয়ত

খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় গণদোয়া

সুদানে গুরুত্বপূর্ণ তেলক্ষেত্র দখল বিদ্রোহীদের

বিয়ের প্রলোভনে নারীকে ধর্ষণ

বিএনপিতে যোগ দিয়ে এলডিপি নেতা লিখলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ’

আলোচিত মহিলা লীগ নেত্রী মহুয়া গ্রেপ্তার

৪০ ঘণ্টা ধরে অনশনে স্কুলশিক্ষক

১০

বেশি দামে সার বিক্রি, ২ ডিলারকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

১১

আসিফের মন্তব্যের কড়া জবাব ওমর সানীর

১২

বাবা সাগরে-মা জেলে, ঘরে ফিরতে পারছে না সাত বছরের ছোট্ট শিশু

১৩

কোন কোন খাবার শরীরে সুগন্ধ ও দুর্গন্ধ তৈরি করে

১৪

৫০ দফাদার পেলেন নতুন সাইকেল

১৫

বিএনপি নেতা বরকত উল্লাহ বুলুর সভায় হামলা-ভাঙচুর

১৬

টি–টোয়েন্টি অভিষেকে ভারতীয় ব্যাটারের ধ্বংসলীলা

১৭

মাছ ধরা নিয়ে তুমুল সংঘর্ষ

১৮

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের অধিনায়ক আজিজুল

১৯

পাঁচ দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ কর্মকর্তাদের স্মারকলিপি

২০
X