

সুদানের দক্ষিণ কোরদোফান প্রদেশের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ হেগলিগ তেলক্ষেত্র দখলের দাবি করেছে আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)। সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) ভোরে আরএসএফ এ দাবি করেছে।
আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরএসএফ জানিয়েছে, সুদানের সামরিক সরকার-নিয়ন্ত্রিত সুদানি সশস্ত্র বাহিনীও (এসএফ) এক বিবৃতিতে এলাকাটি থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। আরএসএফ-সমর্থিত সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রধান ইউসুফ আলিয়ান জানান, তার সমন্বয়েই হেগলিগ তেলক্ষেত্র দখল করা হয়েছে। তিনি বলেন, তেলক্ষেত্র ও স্থাপনাগুলো সুরক্ষার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষিত বাহিনী প্রস্তুত করা হয়েছে।
হেগলিগ সুদানের সবচেয়ে বড় তেলক্ষেত্র, এবং প্রতিবেশী দক্ষিণ সুদানের তেল রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণের প্রধান কেন্দ্র।
আল জাজিরা জানিয়েছে, দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে আরএসএফ দারফুর দখল নেওয়ার পর এখন দক্ষিণ ও মধ্য সুদানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর আগে তারা ওয়েস্ট কোরদোফানের বাবনুসা শহর দখলের লড়াই করছিল। এটি দারফুরে প্রবেশের প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হেগলিগ অঞ্চলে তীব্র যুদ্ধ হয়েছে। আগস্টে ড্রোন হামলার কারণে তেলক্ষেত্রে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে হয়েছিল। এএফপিকে এক সেনা সূত্র জানিয়েছে, তেল স্থাপনাগুলো রক্ষার জন্য এবং ক্ষতি এড়াতে এসএএফ পিছু হটেছে।
আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনও জানিয়েছে, তেলক্ষেত্রে প্রবেশ এখন শুধু সুরক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ টাস্কফোর্সের জন্য সীমাবদ্ধ। একজন প্রকৌশলী জানান, সেনা ও কর্মীদের দক্ষিণ সুদানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আরএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, হেগলিগ মুক্তি গোটা দেশের মুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সুদান ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে নিমজ্জিত। এসএএফ ও আরএসএফের সংঘাতে দশ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, বাস্তুচ্যুত হয়েছে ১ কোটির বেশি মানুষ। জাতিসংঘ জানায়, এখন সুদানের ৩ কোটি মানুষ মানবিক সহায়তার প্রয়োজনের মধ্যে রয়েছে।
মন্তব্য করুন