করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন করে জারি করা হয়েছে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি। ভাইস চ্যান্সেলরের উভয় দপ্তর- মূল ক্যাম্পাস ও নগর কার্যালয়ে সরাসরি সাক্ষাৎ সীমিত করা হয়েছে। সাক্ষাৎপ্রার্থীদের অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।
মঙ্গলবার (১৭ জুন) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এসব নির্দেশনা জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভাইস চ্যান্সেলরের দপ্তরে সাক্ষাৎ অ্যাপয়েন্টমেন্ট সীমিত থাকবে। মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
সে সঙ্গে ১২ জুন ২০২৫ তারিখে জারি করা আগের নির্দেশনাও বহাল থাকবে বলে জানানো হয়েছে। ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দাপ্তরিক সভা সরাসরি নয়, অনলাইনে- বিশেষ করে জুম প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হবে।
করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে আরও কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে- বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দপ্তরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। উপাচার্য, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর এবং ট্রেজারারের দপ্তরে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নিষিদ্ধ। কোনো দপ্তরে তিনজনের বেশি একসঙ্গে থাকা যাবে না।
করোনার উপসর্গ দেখা দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সার্ভিসেস দপ্তর বা আইইডিসিআরের হটলাইন (০১৪০১-১৯৬২৯৩)-এ যোগাযোগ করে কোভিড পরীক্ষা করাতে হবে এবং ফলাফল দ্রুত প্রশাসনকে জানাতে হবে।
সেবাগ্রহীতাদের ক্ষেত্রেও মাস্ক পরিধান ও নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে লাইন ধরে সেবা নেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা দপ্তরকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
এই নির্দেশনাগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন, বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক কেন্দ্র ও তথ্য প্রযুক্তি দপ্তরগুলোতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের শুরুতে দেশে প্রথম কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে সংক্রমণ বেড়ে গেলে সরকার মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জনসমাগম এড়ানোর মতো বিধিনিষেধ জারি করে। সংক্রমণ কমে আসায় এসব নিয়ম কিছুটা শিথিল করা হয়।
তবে সম্প্রতি সংক্রমণ ফের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আগেভাগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন