অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট (এডাস্ট এসডিআই) এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সোল গেটওয়ে করপোরেশনের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে সই করেন এডাস্ট এসডিআইর পরিচালক ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন এবং সোল গেটওয়ে করপোরেশনের পক্ষে সই করেন এর চেয়ারম্যান ও সিইও ড. জে কিউন মুন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য সচিব মো. কামরুজ্জামান লিটু, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য প্রফেসর ড. মো. সিরাজুল হক চৌধুরী, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য কামরুন নেহার, সদস্য তানভীর ইসলাম পাটোয়ারী, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম, চিফ একাডেমিক অ্যাডভাইজার প্রফেসর ড. এ বি এম শহিদুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মো. আব্দুল কাইউম সরদার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইনডিপেন্ডেন্ট রিনিউবেল এনার্জি কনসালটেন্ট জনাব সামসুল আরেফিন সোহেল, স্কিল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের বিজনেস অপারেশন ম্যানেজার ব্যারিস্টার জাকির হাসান, প্রোগ্রাম কোর্ডিনেটর তানঝিম আরা ইঝুম, সোল গেটওয়ে করপোরেশনের দক্ষিণ কোরিয়া এবং বাংলাদেশ টিমের সদস্য। অনুষ্ঠানে এগ্রিবিজনেস ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. মোশাররফ হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান ড. জাবের আহমদ, রোবটিক্স এন্ড অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মাজিদ ইশতিয়াক আহমেদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও সম্মানিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এডাস্ট এসডিআই এমন একটি দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মশক্তি গড়ে তুলবে যারা সোল গেটওয়ে করপোরেশন ও তাদের কোরিয়ান অংশীদারদের চাহিদা অনুযায়ী প্রস্তুত থাকবে। প্রশিক্ষণ হবে শিল্পভিত্তিক, ব্যবহারিক ও আধুনিক, যা দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মসংস্থান মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এর ফলে বাংলাদেশের তরুণদের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মজীবনের সুযোগ বিশেষত কোরিয়ায় প্রবেশাধিকার সহজ হবে। এছাড়াও এই এমওইউ দ্বিপাক্ষিক একাডেমিক সহযোগিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, যৌথ গবেষণা, একাডেমিক ভিজিট এবং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পথ উন্মুক্ত করবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে শিক্ষাগত সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে এবং প্রযুক্তিভিত্তিক প্রশিক্ষণ ও একাডেমিক উদ্ভাবনের সমন্বয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন দক্ষ পেশাজীবী গড়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি হবে।
মন্তব্য করুন