২০২২ সালের ডিগ্রি (পাস) ও সার্টিফিকেট কোর্স তৃতীয় বর্ষ এবং ২০২০ সালের ডিগ্রি প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় নকল ও অন্যান্য অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮২ শিক্ষার্থীকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পরীক্ষক, পর্যবেক্ষক ও প্রধান পরীক্ষকদের রিপোর্ট এবং বোর্ডের সংগ্রহ করা আলামতের ভিত্তিতে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, অনুষদের ডিন, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, রেজিস্ট্রার এবং সরকারি কলেজের অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি ৮২ অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর জবাবপত্র, লিখিত কৈফিয়ত ও অন্যান্য তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে সর্বসম্মতভাবে শাস্তির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শাস্তির মাত্রা অপরাধের গুরুত্ব অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়েছে, ‘ক’ ধারায় ৫ জন শিক্ষার্থীর চলতি বছরের সম্পূর্ণ পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। ‘গ’ ধারায় আরও ৫ জনের একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের পরীক্ষা বাতিল হয়েছে। ‘ম’ ধারায় ৩৫ জনকে পুরো বছরের পরীক্ষায় শাস্তি দেওয়া হয়েছে। ‘এ’ ধারায় ২৬ জনের চলতি বছরের পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি পরবর্তী এক বছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ‘অ’ ধারায় ৯ জন এবং ‘ও’ ধারায় ৮ জনকে পরবর্তী তিন বছর পরীক্ষায় অংশ নেওয়া থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুতর শাস্তি পেয়েছেন ২ শিক্ষার্থী, যাদের ‘দ’ ধারায় ছয় বছরের জন্য পরীক্ষায় বসা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, এই শাস্তিগুলো মূলত বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী অপরাধের মাত্রা বিবেচনায় নির্ধারিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, ‘ক-ঘ’ ধারায় কেবল চলতি বছরের পরীক্ষা বাতিল হয়, ‘৩-এ৪’ ধারায় এক বছর, ‘ট-২’ ধারায় দুই বছর, ‘ড-৭’ ধারায় তিন বছর এবং ‘ত-ধ’ ধারায় চার বছরের জন্য পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ হয়। ‘ন’ ধারায় শাস্তির মাত্রা নির্ধারণ করে শৃঙ্খলা কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, প্রয়োজন হলে এই সিদ্ধান্ত সংশোধন, সংযোজন বা বাতিল করার ক্ষমতা তারা সংরক্ষণ করে। শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলোতেও পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন