এইচএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনে গাফিলতির অভিযোগে সাভারের আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর বিপরীতে একই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা বিভাগের একজন সহকারী অধ্যাপককে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এস এম কামাল উদ্দিন হায়দারের সই করা এক স্মারকে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ঢাকা জেলার সাভার উপজেলাধীন (কেন্দ্র-সাভার-৫, কেন্দ্র কোড- ১৪৭) আশুলিয়া উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্রে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পরীক্ষার সকল দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো এবং তার স্থলে উক্ত প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ হাফিজ উল্লাহকে কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হলো। তার স্থলে আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক (ব্যবস্থাপনা) মোহাম্মদ হাফিজ উল্লাহকে নতুন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল রাতে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বোর্ডের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও সমাজকর্ম, পরিসংখ্যান ও ভূগোল- এই তিন বিষয়ে ১৮৬ জন শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করেছে। অথচ এসব বিষয়ের পাঠদানে শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন ছিল না। তবুও কলেজ কর্তৃপক্ষ ওই বিষয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে এবং পরীক্ষার প্রবেশপত্র পাওয়ার পরও সময়মতো তা সংশোধনের জন্য বোর্ডের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি। পরে পরীক্ষা প্রায় শেষ পর্যায়ে এসে, ৯ জুলাই কলেজটি মৌখিকভাবে বোর্ডে যোগাযোগ করে বিষয় পরিবর্তনের অনুরোধ করে। কিন্তু ততক্ষণে প্রশ্নপত্র কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হয়ে যাওয়ায় বোর্ডের পক্ষে কিছু করার ছিল না।
বোর্ড আরও জানিয়েছে, আশুলিয়া উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো অনুরূপ অনিয়ম ঢাকা বোর্ডের আওতাধীন আরও ৬টি কলেজেও ঘটেছে। তবে সেসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা খুবই কম- মোট ২২ জন। বিপরীতে, আশুলিয়া কলেজে এককভাবে ১৮৬ জন শিক্ষার্থী এমন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে, যা প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বহীনতা ও প্রশাসনিক দুর্বলতার স্পষ্ট প্রমাণ।
বিষয়টি নিয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, এই অনিয়মের জন্য শতভাগ দায়ী সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষ। বোর্ড প্রশ্নপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার পর বিষয় পরিবর্তনের অনুরোধ করে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। এ ধরনের অনিয়ম প্রশ্রয় পেলে শিক্ষাঙ্গনে শৃঙ্খলা নষ্ট হবে এবং ভবিষ্যতে অনিয়মকে স্বাভাবিক করে তুলবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মন্তব্য করুন