কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৫২ পিএম
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নীলক্ষেতে ডাকসুর ব্যালট ছাপানো ইস্যুতে ব্যাখ্যা দিল ঢাবি প্রশাসন

জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ব্রিফ করেন। ছবি : কালবেলা
জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান ব্রিফ করেন। ছবি : কালবেলা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।

রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাস রুমে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান যাবতীয় বিষয় নিয়ে ব্রিফ করেন।

তিনি বলেন, সহযোগী ভেন্ডরের তথ্য অনুযায়ী, সহযোগী প্রতিষ্ঠান নীলক্ষেতে ২২ রিম কাগজ দিয়ে ৮৮ হাজার ব্যালট ছাপায়। যা থেকে প্রিন্টিং, কাটিং, প্রি-স্ক্যান পর্ব শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণে ব্যালট প্যাকেটে সিলগালা করে ৮৬ হাজার ২৪৩টি ব্যালট সরবরাহযোগ্য করা হয় এবং অতিরিক্ত ব্যালটগুলো প্রচলিত পদ্ধতিতে নষ্ট করে ফেলা হয়। ভেন্ডর আরও জানান, নীলক্ষেতে কাটিং শেষে প্রি-স্ক্যান ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তারা তাদের মূল অফিসে এনে প্রি-স্ক্যান সম্পন্ন করে নির্দিষ্ট পরিমাণে প্যাকেটে ভরে সিলগালা করে বিশ্ববিদ্যালয়কে সরবরাহ করে। তারা আরও জানায়, তারা ব্যালট প্রস্তুতকরণ প্রক্রিয়ায় ও আনা নেওয়ায় চুক্তি মোতাবেক সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। ব্যস্ততার কারণে কর্তৃপক্ষকে তারা নীলক্ষেতে ব্যালট প্রিন্টিং ও কাটিংয়ের বিষয়টি জানাতে ভুলে যায় বলে স্বীকার করে।

তিনি আরও বলেন, সব নিয়ম মেনে প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে একটি অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানকে ব্যালট পেপার ছাপানোর দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ও প্রার্থীর বিবেচনায় দ্রুততম সময়ে নির্ধারিত পরিমাণ ব্যালট ছাপানোর স্বার্থে আমাদের মূল ভেন্ডরের সঙ্গে আলোচনা করে সমযোগ্য একটি সহযোগী/অ্যাসোসিয়েট প্রতিষ্ঠানকে একই টেন্ডারের অধীনে কাজে সম্পৃক্ত করার অনুমতি দেওয়া হয়। নীলক্ষেতে ব্যালট ছাপানোর তথ্যটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ওই সহযোগী ভেন্ডর অবহিত করেনি।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করার ব্যাখ্যায় ওই সহযোগী ভেন্ডর প্রশাসনকে এর কারণ জানিয়েছেন। উপাচার্য বলেন, এটা পরিষ্কারভাবে অনুধাবনযোগ্য যে, ব্যালট পেপার ছাপানোর স্থান বা সংখ্যা সুষ্ঠু নির্বাচনকে কোনোভাবে প্রভাবিত করে না। কারণ, ব্যালট পেপার ভোটের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত করতে কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন করতে হয়। ব্যালট পেপারটি ছাপানোর পর তা নির্দিষ্ট পরিমাপে কাটিং করতে হয়। তারপর সুরক্ষা কোড আরোপ করে ওএমআর মেশিনে প্রি-স্ক্যান করে তা মেশিনে পাঠযোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে হয়। এরপর চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার সিলসহ স্বাক্ষর ও কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার স্বাক্ষরযুক্ত হলেই তা ভোটগ্রহণের জন্য উপযুক্ত হয়। এসব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেই পূর্ণ সতর্কতার সঙ্গে (DUE DILIGENCE) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী, উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় চূড়ান্তভাবে ২ লাখ ৩৯ হাজার ২৪৪টি ব্যালট ভোটগ্রহণের জন্য প্রস্তুত করা হয়। মোট ভোটার ৩৯ হাজার ৮৭৪। ভোটার প্রতি ৬টি ব্যালট। মোট ভোট দিয়েছেন ২৯ হাজার ৮২১ জন ভোটার। মোট ব্যালট ব্যবহার করা হয়েছে ১ লাখ ৭৮ হাজার ৯২৬টি। অবশিষ্ট ব্যালট ৬০ হাজার ৩১৮।

সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা দেখানোর দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সিসিটিভি ফুটেজ এবং ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকার বিষয়টি আবার সামনে এসেছে। এ বিষয়ে এর আগে আমরা বিস্তারিত জানিয়েছি, কোনো প্রার্থী যদি সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের/কোনো একটি প্রাসঙ্গিক ঘটনা পর্যালোচনা করার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে চান তারা যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক নির্ধারিত কোনো স্থানে তা দেখতে বা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। ভোটারদের স্বাক্ষরযুক্ত ভোটার তালিকা দেখানোর বিষয়ে আমরা পুনরায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীদের সঙ্গে অধিকতর আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে তাদের পরামর্শ নিম্নরূপ: কোনো প্রার্থী যদি নির্দিষ্ট ও যৌক্তিক কারণে নির্দিষ্ট কারও স্বাক্ষর পর্যবেক্ষণ করতে চায় সেক্ষেত্রে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করলে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মনোনীত বিশেষজ্ঞ বা মনোনীত ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে দেখানো যেতে পারে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কল রেকর্ড ফাঁসের ভয়ে টেলিফোন ধরি না : সিইসি

টানা ৫ দিন বৃষ্টির পূর্বাভাস 

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ

অঞ্জলির মধ্য দিয়ে খুলনায় দুর্গোৎসব শুরু

আইসিসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করবে পিসিবি

রিমান্ডের আদেশ শুনে ঢলে পড়লেন এনায়েত করিম, দেওয়া হলো মিষ্টি চকলেট

জীবনের সঙ্গে খাদ্যের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য : নিরাপদ খাদ্যের চেয়ারম্যান

আ.লীগ কর্মীকে বিএনপি কর্মী হিসেবে প্রত্যয়ন, দলীয় নেতাকর্মীদের ক্ষোভ

পারসাকে ‘রাখি সাওয়ন্ত’ বললেন পাভেল, ভিডিও ভাইরাল

৬ অক্টোবর বিসিবি নির্বাচনে বাধা নেই

১০

এয়ারপডসে এই কালো বিন্দুগুলো কেন থাকে, কারণ জানলে চমকে যাবেন

১১

হাজী সেলিমের বাড়ি ঘিরে রেখেছে যৌথ বাহিনী

১২

বালুবোঝাই ট্রলির ধাক্কায় প্রাণ গেল জামায়াত নেতার

১৩

ফ্যাসিস্টের সহযোগীরা গুজব সৃষ্টির চেষ্টা করবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

১৪

পাকিস্তানে সেনা অভিযানে বাংলাদেশি নিহত

১৫

পতিত ফ্যাসিস্ট সরকার শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে : নবী উল্লাহ

১৬

সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

১৭

কবে ফুরাবে পৃথিবীর অক্সিজেন, জানাল নাসা

১৮

জামায়াত আমিরের সঙ্গে স্পেন রাষ্ট্রদূত চিনচেত্রুর সৌজন্য সাক্ষাৎ

১৯

ইউক্রেনের রাজধানীতে ভয়াবহ হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া

২০
X