কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৫ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস

মতিঝিল আইডিয়ালের শিক্ষক প্রতিনিধি মালা বহিষ্কার

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালা। ছবি : সংগৃহীত
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালা। ছবি : সংগৃহীত

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সাময়িক বহিষ্কার থাকাকালীন বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন মাকসুদা মালা। এ ছাড়া চিঠিতে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বর্তমানে তিনি যে ঠিকানায় বসবাস করছেন এই জায়গার থেকে অন্য কোথাও বাসা পরিবর্তন না করা কিংবা কর্মস্থল ত্যাগ না করার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালা, ঢাকার থ্রি ডক্টরস কোচিংয়ের পরিচালক ডা. বশিরসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের তিনজন হলেন মৈত্রী সাহা, জাকারিয়া আশরাফ ও ইভানা। অন্যজন হলেন সাবরিনা রেজা টুষি। তিনি রংপুর মেডিকেলের শিক্ষার্থী।

সিআইডি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসে জড়িত ১৯ চিকিৎসকসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে যাদের নাম আসবে, প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত বুধবার জানানো হবে।

তদন্ত সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক মালা তার মেয়ে ইকরা বিনতে বাশারসহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে পাস করা ডা. অনিমেষ কুন্ডুর কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন ডা. সাবরিনা রেজা টুষি, ডা. মৈত্রী সাহা ও ডা. জাকারিয়া আশরাফ। ডা. অনিমেষ এই তিনজনকে প্রাইভেট পড়াতেন। ২০১৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে এক পরীক্ষার্থীর মামির বাসায় তাদের ফাঁস করা প্রশ্নপত্র পড়ানো হয়। প্রত্যেকের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি ছিল, জামানত হিসেবে রাখা হয়েছিল চেক। মৈত্রী ও জাকারিয়া ঢাকা মেডিকেলের কে-৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আর সাবরিনা রেজা টুষি রংপুর মেডিকেলের শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেলের কে-৬৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. জাকিয়া ইভানা। ইভানাকে প্রশ্ন সরবরাহ করেন ফেইম কোচিংয়ের পরিচালক ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এ ঘটনায় করা মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সংস্থাটি। এই ১২৫ জনের মধ্যে ৪৭ জনকে চার্জশিট দেওয়ার আগে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তারা। তাদের মধ্যে ৪৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে সরকারের অর্ধকোটি টাকার রেসকিউ বোট

মগবাজার রেলক্রসিং এড়িয়ে চলায় পরামর্শ ডিএমপির

সাবেক মুখ্য সচিব কামাল সিদ্দিকী মারা গেছেন

বিসিবির নতুন পরিচালক হলেন রুবাবা দৌলা

আমার আছে শুধু চারটে ফিতে কাটার ইভেন্ট: সোহিনী সরকার

৯ ও ১০ নভেম্বর বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্স, কী হবে সেদিন

স্মার্টফোন চার্জিং সমস্যার কিছু সহজ সমাধান

অবিশ্বাস্য উড়ন্ত গাড়ি আনছে টেসলা, জানালেন ইলন মাস্ক

৬ মাসে হাফেজ ৯ বছর বয়সী হাসান

ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চারে কার্তিক আরিয়ান

১০

এশিয়ান আরচারি চ্যাম্পিয়নশিপে ভালো করার লক্ষ্য বাংলাদেশের

১১

গুগলে দ্রুত তথ্য খুঁজে পাওয়ার ৭ সহজ কৌশল

১২

রাজশাহীতে ভোরের কুয়াশায় শীতের আগমনি বার্তা

১৩

দেশে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

১৪

কেন চিটাগং কিংসকে বাদ দেওয়া হয়েছে, কারণ জানাল বিসিবি

১৫

যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও গাজায় ইসরায়েলের গোলাবর্ষণ

১৬

গাইবান্ধায় ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা

১৭

জবিতে ১০ সদস্যের কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি গঠন

১৮

সেনাবাহিনীকে নিয়ে গুজবের শেষ কোথায়?

১৯

এমবাপ্পের পেনাল্টি মিস দেখে রিয়াল সমর্থকের মৃত্যু

২০
X