সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৫ এএম
আপডেট : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০৯ এএম
অনলাইন সংস্করণ
মেডিকেলের প্রশ্নফাঁস

মতিঝিল আইডিয়ালের শিক্ষক প্রতিনিধি মালা বহিষ্কার

মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালা। ছবি : সংগৃহীত
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালা। ছবি : সংগৃহীত

মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) প্রতিষ্ঠানটির সহকারী অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বহিষ্কারে বিষয়টি জানানো হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়, সাময়িক বহিষ্কার থাকাকালীন বিধি মোতাবেক খোরাকি ভাতা পাবেন মাকসুদা মালা। এ ছাড়া চিঠিতে কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে বর্তমানে তিনি যে ঠিকানায় বসবাস করছেন এই জায়গার থেকে অন্য কোথাও বাসা পরিবর্তন না করা কিংবা কর্মস্থল ত্যাগ না করার কথা বলা হয়েছে।

এর আগে মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা মালা, ঢাকার থ্রি ডক্টরস কোচিংয়ের পরিচালক ডা. বশিরসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজের তিনজন হলেন মৈত্রী সাহা, জাকারিয়া আশরাফ ও ইভানা। অন্যজন হলেন সাবরিনা রেজা টুষি। তিনি রংপুর মেডিকেলের শিক্ষার্থী।

সিআইডি জানিয়েছে, এ পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসে জড়িত ১৯ চিকিৎসকসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে যাদের নাম আসবে, প্রত্যেককে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমান বলেন, এ বিষয়ে বিস্তারিত বুধবার জানানো হবে।

তদন্ত সূত্র জানিয়েছে, শিক্ষক মালা তার মেয়ে ইকরা বিনতে বাশারসহ ১০ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেডিকেলে ভর্তি করিয়েছেন। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে গ্রেপ্তারদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এ তথ্য উঠে এসেছে। জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল থেকে পাস করা ডা. অনিমেষ কুন্ডুর কাছ থেকে প্রশ্ন পেয়ে মেডিকেলে ভর্তি হন ডা. সাবরিনা রেজা টুষি, ডা. মৈত্রী সাহা ও ডা. জাকারিয়া আশরাফ। ডা. অনিমেষ এই তিনজনকে প্রাইভেট পড়াতেন। ২০১৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার আগের রাতে এক পরীক্ষার্থীর মামির বাসায় তাদের ফাঁস করা প্রশ্নপত্র পড়ানো হয়। প্রত্যেকের সঙ্গে ১০ লাখ টাকার চুক্তি ছিল, জামানত হিসেবে রাখা হয়েছিল চেক। মৈত্রী ও জাকারিয়া ঢাকা মেডিকেলের কে-৭৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী। আর সাবরিনা রেজা টুষি রংপুর মেডিকেলের শিক্ষার্থী। ঢাকা মেডিকেলের কে-৬৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী ডা. জাকিয়া ইভানা। ইভানাকে প্রশ্ন সরবরাহ করেন ফেইম কোচিংয়ের পরিচালক ডা. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগেই গ্রেপ্তার হয়েছেন।

২০১৭ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। এ ঘটনায় করা মামলায় ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেয় সংস্থাটি। এই ১২৫ জনের মধ্যে ৪৭ জনকে চার্জশিট দেওয়ার আগে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন তারা। তাদের মধ্যে ৪৬ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

নিরাপদে পথচারী পারাপারে পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু

রাব্বির গোলে জিতল বাংলাদেশ

কিশোরগঞ্জে সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার

দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে এনসিপির ‘শৃঙ্খলা কমিটি’ গঠন

ইসরায়েলকে প্রতিরোধ করতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ

শূন্যতার মাঝেই টিটির স্বপ্ন

জবিতে লিফট বিতর্ক, ব্যাখ্যা দিলেন উপাচার্য

আইএম হওয়ার শর্ত পূরণ করলেন তাহসিন

বিসিএসএ'র নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত

ঢাবিতে ছবি তুলে দেওয়ার কথা বলে মোটরসাইকেল চুরি, অতঃপর...

১০

সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে জনগণ : বিএনপি নেতা

১১

আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

১২

নারী সংস্কার কমিশন নিয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রী সংস্থার বিবৃতি

১৩

মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

১৪

মৃত্যুভয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছি: হাথুরু

১৫

পাকিস্তানে মন্ত্রীকে আলু-টমেটো মারল বিক্ষুব্ধ জনতা

১৬

লামার ইটভাটায় সংরক্ষিত বনের কাঠ, চাঁদা দিলেই বিশেষ টোকেন

১৭

চীনে এবার আম, আগামী বছর যাবে কাঁঠাল

১৮

ঐক্য পরিষদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

১৯

দেশজুড়ে বৃষ্টির আভাস, বাড়তে পারে তাপমাত্রা

২০
X