

দশম গ্রেডসহ তিন দফা দাবি আদায় না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ চেয়েছেন সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। রোববার (০৯ নভেম্বর) সকাল থেকে দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন তারা।
ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় অবস্থান নিয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা সহকারী শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথেই অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রধান দাবি— বর্তমান ১৩তম গ্রেড থেকে বেতন স্কেল উন্নীত করে ১০ম গ্রেডে উন্নয়ন।
এ ছাড়া শনিবার শাহবাগে কলম সমর্পণ কর্মসূচির সময় পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল নিক্ষেপে বহু শিক্ষক আহত হওয়ার ঘটনাতেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। আন্দোলনরত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, পুলিশের এ হামলা ছিল শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা।
এর আগে শনিবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে সরাসরি দশম গ্রেডের দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিক্ষকরা পদযাত্রা শুরু করলে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন এবং সেখানে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষক আহত হন বলে দাবি করেছেন শিক্ষক নেতারা।
তখন শিক্ষকরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষকরা ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ নামে চারটি সংগঠনের ব্যানারে সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। বিকেলে ‘কলম বিসর্জন কর্মসূচি’ পালনের জন্য তারা শাহবাগের দিকে পদযাত্রা শুরু করেন।
শিক্ষকরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে যেতে চাইলে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে শিক্ষকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ ঘটনায় শতাধিক শিক্ষক আহত হন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। সাউন্ড গ্রেনেডের আঘাতে শিক্ষকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অবস্থান নেন, যেখানে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।
মন্তব্য করুন