আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু প্রার্থীর সংখ্যা ২০ জন। সর্বশেষ ২০১৮ সালের নির্বাচনে ১৮ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনেও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৮ জন এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবারে মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন, ঠাকুরগাঁও-১ রমেশ চন্দ্র সেন, দিনাজপুর-১ মনোরঞ্জন শীল গোপাল, রংপুর-৩ তুষার কান্তি মণ্ডল, কুড়িগ্রাম-৩ সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে, নওগাঁ-১ সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-৩ সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী, যশোর-৫ স্বপন ভট্টাচার্য, মাগুরা-২ শ্রী বীরেন শিকদার, খুলনা-১ ননী গোপাল মণ্ডল, খুলনা-৫ নারায়ন চন্দ্র চন্দ, বরগুনা-১ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, ময়মনসিংহ-১ জুয়েল আরেং, মুন্সীগঞ্জ-৩ মৃনাল কান্তি দাস, নেত্রকোনা-৩ অসীম কুমার উকিল, কুমিল্লা-৭ প্রাণ গোপাল দত্ত, সুনামগঞ্জ-১ রনজিত চন্দ্র সরকার, খাগড়াছড়ি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি দীপংকর তালুকদার ও বান্দরবান বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।
সম্প্রতি বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত জাতীয় সংসদের ৬০টি আসন সংখ্যালঘুদের জন্য নিশ্চিত করার দাবি জানান। তিনি বলেন, দেশের আড়াই কোটি সংখ্যালঘু মানুষ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অংশীদারত্ব চায়। বৈষম্যের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় সংসদে ৭২ জন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। এখন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সংসদ সদস্য ১৭ জন। আযম খানের আমলে চারজন মন্ত্রী ছিলেন। এখন মন্ত্রী দুজন। সংখ্যালঘুদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে ১৯৭২ সালের সংবিধান পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
মন্তব্য করুন