

বলিউডে বড়সড় ধাক্কা। ৩০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি টাকারও বেশি) আইভিএফ জালিয়াতি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রখ্যাত বলিউড পরিচালক বিক্রম ভাট। রোববার রাজস্থান পুলিশ ও মুম্বাই পুলিশের যৌথ অভিযানে মুম্বাইয়ের ইয়ারি রোডে ভাটের শ্যালিকার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে পরিচালককে উদয়পুরে নিয়ে যাওয়ার জন্য বান্দ্রা কোর্টে ট্রানজিট রিমান্ড চাওয়া হবে।
যে অভিযোগে গ্রেপ্তার উদয়পুরের ভোপালপুরা থানায় দায়ের করা এফআইআর সূত্রে জানা যায়, অভিযোগকারী ড. অজয় মুর্দিয়া (ইন্দিরা আইভিএফ হাসপাতালের মালিক) তার প্রয়াত স্ত্রীর জীবনী নিয়ে একটি বায়োপিক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। এই সুযোগে বিক্রম ভাট ও তার সহযোগীরা তাকে ২০০ কোটি রুপি লাভের প্রলোভন দেখান।
অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৪ এপ্রিল ২০২৪ মুম্বাইয়ের বৃন্দাবন স্টুডিওতে ড. মুর্দিয়ার সঙ্গে বিক্রম ভাটের বৈঠক হয়। সেখানে ভাট জানান, চলচ্চিত্র নির্মাণের পুরো দায়িত্ব তিনি নেবেন এবং তার স্ত্রী শ্বেতাম্বরী ও মেয়ে কৃষ্ণাও এই প্রজেক্টের সহযোগী হিসেবে থাকবেন। এই প্রকল্পের জন্য ভাট তার স্ত্রী শ্বেতাম্বরীর নামে ‘ভিএসবি এলএলপি’ নামে একটি সংস্থাও নিবন্ধন করেন। এরপর ধাপে ধাপে ৩০ কোটি রুপি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে।
লুকআউট নোটিশ ও পুলিশি অভিযান গ্রেপ্তারের প্রায় ২০ দিন আগে উদয়পুরে এই প্রতারণার মামলা দায়ের হয়। তদন্তের স্বার্থে গ্রেপ্তারের সাত দিন আগেই বিক্রম ভাট, তার স্ত্রী শ্বেতাম্বরী ভাট এবং আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে ‘লুকআউট নোটিশ’ জারি করেছিল উদয়পুর পুলিশ। অভিযুক্তদের ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে থানায় হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল এবং তাদের বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। কিন্তু তারা হাজিরা না দেওয়ায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে।
আসামির তালিকায় কারা? এই হাই-প্রোফাইল জালিয়াতি মামলায় শুধু বিক্রম ভাট নন, অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরাও। এফআইআরে নাম রয়েছে—বিক্রম ভাট, তার স্ত্রী শ্বেতাম্বরী ভাট, মেয়ে কৃষ্ণা ভাট, দীনেশ কাটারিয়া, মেহবুব আনসারি, মুদিত বুটাট্টন, গঙ্গেশ্বরলাল শ্রীবাস্তব এবং অশোক দুবে।
বলিউডের একজন নামকরা পরিচালকের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ এবং গ্রেপ্তারের ঘটনায় ইন্ডাস্ট্রিজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন