টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমের নাটকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ দৃশ্যধারণ, অশ্লীল সংলাপের ব্যবহার এবং নাটকের নাম নির্বাচনে ‘রুচিহীনতার’ আগ্রাসন রুখতে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করেছিল নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ। ১৭ জুন বেলা ১১টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার রুমে ‘টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যমের নাটকে অশ্লীলতার আগ্রাসন ও আমাদের করণীয়’ শিরোনামে এই আলোচনা হয়। নাটকের ভিউ বাড়ানোর প্রতিযোগিতাকে ‘অসুস্থ ও অশ্লীল’ মনে করেন সংগঠনের সদস্যরা। এই চর্চা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গ্রাস করছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা। আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, টেলিপ্যাব—এর সভাপতি মনোয়ার পাঠান, টেলিভিশন নাট্যকার সংঘের সভাপতি হারুন অর রশিদ, আই স্ক্রিন—এর সিইও চিত্রনায়ক রিয়াজ, ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ—এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, অভিনয় শিল্পী সংঘের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অভিনয় শিল্পী ও নির্মাতা নাজনীন হাসান চুমকি, মাছরাঙা টেলিভিশন—এর অনুষ্ঠান প্রধান আরিফ রহমান, গাজী টিভি অনুষ্ঠান প্রধান অনন্ত জাহিদ, একুশে টিভির অনুষ্ঠান প্রধান সাইফ উদ্দিন আহমেদ, নির্মাতা ও নাট্যকার শাকুর মজিদ, ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ—এর কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যসহ মিডিয়ার ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ—এর সভাপতি অনন্ত হিরা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডিরেক্টরস গিল্ড—এর সহসভাপতি আশরাফুল আলম রন্টু। আলোচনার শুরুতে নাটকে অশ্লীল সংলাপ সম্বলিত কিছু ভিডিওচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাচসাস—এর সভাপতি রাজু আলীম, ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ—এর সহসভাপতি মনোজ সেনগুপ্ত, নাট্য নির্মাতা শহীদ রায়হান, সগীর মোস্তফা, পিকলু চৌধুরী, মাহমুদ নিয়াজ চন্দ্রদ্বীপ। উপস্থিত আলোচকরা সৃজনশীল ও সুস্থধারার সংস্কৃতিচর্চার মানুষ ও সংগঠনগুলোকে একসাথে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন। এ সময় আলোচকদের প্রস্তাবনাগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়। তা ছাড়া ডিরেক্টরস গিল্ড বাংলাদেশ—এর পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনাগুলোর আলোকে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন